নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গোটা টুর্নামেন্টে ফিফটি নেই একটিও, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো একজন ব্যাটসম্যানের জন্য বড্ড বিব্রতকর এক পরিসংখ্যান। অবশেষে ফাইনালে হাসল তার ব্যাট। শুরুর বিপর্যয় আর মাঝের মন্থরতা ঠেলে অধিনায়কের দুর্দান্ত ইনিংসেই বোলারদের লড়াই করার পুঁজি দিতে পারল খুলনা।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জেমকন খুলনার ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ১৫৫ রান।
মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে যান, দলের রান তখন সপ্তম ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩। সেখান থেকে দলকে টেনে শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ৪৮ বলে ৭০ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৬৪।
তার আগ্রাসনেই শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রান তোলে খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে নাহিদুল ১৯ ও শরিফুল ৩৩ রানে ননে ২ উইকটে। মুস্তাফিজ ২৪ রানে পান ১ উইকেট। মোসাদ্দেকের শিকারও ১ উইকেট।
লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও ফাইনাল হলো ফাইনালের মতোই। আর তাতে বার বার জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে তরুণ্য নির্ভর দল চট্টগ্রামকে।
নিয়মিত পার্ফরমার সৌম্য-লিটনদের ব্যর্থতার দিনে ঠিকই জ্বলে উঠেছিলেন সৈকত আলী। তবে তার লড়াকু অপরাজিত ফিফটিতেও হার এড়াতে পারেনি আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলটি, থামে কাটায় কাটায় ১৫০ রানে।
৫ রানের জয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে মাশরাফি-সাকিবদের নিয়ে গড়া খুলনা।
শেষ বলটি ছক্কায় উড়ে গেল মাঠের বাইরে। ফিল্ডারদের সেদিকে ভ্রুক্ষেপও নেই। তাদের অপেক্ষা ছিল স্রেফ বলটি হওয়ার। জয় তো নিশ্চিত আগেই! বল যখন উড়ে চলেছে সীমানার দিকে, খুলনার ক্রিকেটাররাও তখন মাঠে ছুটে চলেছেন বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে।
মাহমুদউল্লাহ ছিলেন লং অফে। সেখান থেকে ছুটে গেলেন লাফাতে লাফাতে। একটু পরই তিনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন ওপরে। সতীর্থরা বিজয় মিছিল করছেন তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।