বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফী (রহ)-কে হত্যার অভিযোগে সংগঠনের ৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করে নালিশি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে মামলাটি করেন আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মঈনুদ্দীন। এর প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মামলার আসামিরা সবাই হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মী। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিব উল্লাহ, সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী, হেফাজতের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী (খাদেম) এনামুল হাসান ফারুকীসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা। এ বিষয়ে গাজী মিজানুর রহমান নামে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, ‘আল্লামা শফী হজুরের যদি এমন নিউজ জানার সুযোগ থাকতো, তাহলে তিনি লজ্জিত হতেন! আল্লাহ আপনি হুজুরকে জান্নাতবাসী হিসেবে কবুল করুন।’
আবদুর রহিম সাদ লিখেন, ‘পুরো কওমী অঙ্গন যানে, আহমাদ শফী রহ: এর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য এমন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে বা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, তাদের শেষ পরিণতি কি হবে! আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। তবে ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম মির্জাফর, লোভী, বিশ্বাস ঘাতকদের নামের পাশেই থাকবে।’
এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন এমডি রাসেল আহমেদ নামে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী। তিনি বলছেন, ‘মামুনুল হককে কোনভাবেই দমানো যাবে না। কারণ সত্যের জয় হবেই। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ মামুনুল হককে সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করবেন। আল্লাহ মামুনুল হকের হায়াতকে বাড়িয়ে দিন।’
‘প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যারা মামলা করে, আইন আদালতের সময় নষ্ট করে; এদেরকেও কঠোর আইনের আওতায় আনা উচিত’ বলে মনে করেন শাজাহান শায়েফ।
এমডি জাহিদ লিখেন, ‘আল্লামা শফী হাসপাতালে যখন মৃত্যুবরণ করেছিলেন, ডাক্তার এমন কোন কথা বলেন নাই যে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।’
‘ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থান থেকে হেফাজত ইসলামকে দূরে রাখতে মানসিক চাপ প্রয়োগের কৌশল মাত্র।’ - জামাল হোসেনের মন্তব্য।
মাহবুব খানের প্রশ্ন, ‘আহমদ শফীর এতো ছেলে,মেয়ে থাকতে শালাবাবু মামলা করলো কেন?’
নীল নির্ঝর লিখেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসায় সেদিন ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী ও উনার মৃত্যু পুরোটাই রহস্যজনক। তখনই পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিৎ ছিলো।’
নীরা হক লিখেন, ‘মামলা যেহেতু হয়েছে, বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং বিষয়গুলো জাতির কাছে স্পষ্ট হোক; আমরা সেটাই চাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।