পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গত বুধবার পহেলা বৈশাখের দুপুরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. হাছান। এ সময় পবিত্র রমজান ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উপলক্ষে তিনি নতুন বছরে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের করোনামুক্তি কামনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম এ তথ্য জানান।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মাওলানা আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‹নির্যাতনের মাধ্যমে মাওলানা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। তখনকার পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল। হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী মাওলানা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাংচুর করা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, এসবই সবাই দেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, মাওলানা শফী সাহেব আমার নির্বাচনি এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষ। আমি চাই, আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষ মাওলানা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।
করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন,জনগণকে মহামারির হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশেও একই ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাক। প্রতিদিন দেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হোক। তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।