Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে স্বাস্থ্যসেবা

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:২০ পিএম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবার নিয়মে পরিণত হয়েছে। ডাক্তারদের উদাসীনতা,অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপণার কারণে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালটিতে। এর ফলে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় মানুষগুলো।

জানা যায়, এখানে ১০ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও নিয়মিত হাসপাতালে রোগী ‘না দেখে হাসপাতালের সামনের ফামের্সিগুলোতে কিংবা নিজ চেম্বারে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ডাক্তরা। এতে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। যার ফলে এ উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে হাতুড়ে কিংবা ওঝা কবিরাজের দিকে ঝুকছে।

গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখো যায়, জরুরী বিভাগে কয়েক জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। জরুরী বিভাগে অধিকাংশ সময় কর্মরত চিকিৎসক থাকেন না। বহিঃবিভাগেরও একই চিত্র। সময় মতো ডাক্তার না আসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের কে। রোগীদেরকে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে ফিরে যেতে হয় বাধ্য হয়ে। এসব নি¤œ আয়ের মানুষকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ডাক্তারের ফার্মেসী চেম্বার বা বাসায় যেতে হয়। হাজিরা খাতায় চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি দেখানো হলেও দুই একজন হাসগাতালে থাকলেও অন্যরা ব্যস্ত থাকে চেম্বার নিয়ে। চেম্বারে রোগী দেখার জন্য ফার্মেসী বা বাসায় থাকে। এছাড়াও দ্বিতীয় তলায় প্রদর্শিত সাইনবোর্ডে দেখা যায়, সেখানে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি ১৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি ১৮ জন ভর্তি দেখানো হয়েছে। বাস্তবে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫-৭ জন রোগী আর মহিলা ওয়ার্ডে ১০-১২ জন রোগী রয়েছে। যেন কাজীর গরু বেতাবে আছে হিসবে নেই। অপরিস্কার আর ময়লা আর্বজনায় ভরা ওয়ার্ডের টয়লেটগুলো। বাড়তি টাকা ছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয় না। আর ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধি ও দালালদের উৎপাত তো আছে।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, তাদের নিয়মিত দেখতে আসেন না চিকিৎসকরা। আবার কখনো দেখতে গেলেও রোগের বিস্তারিত শুনতে চান না, কেবল নামেই রোগীর ফাইল দেখেন। এরপর লিখে দিয়ে সেগুলো খাওয়ানোর নির্দেশনা দিয়ে চলে যান।
চিকিৎসা নিতে আসা কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছিটরাজীব গ্রামের দরিদ্র কৃষক ঘনশ্যাম রায় জানান, আমি ৪ দিন ধরে ভর্তি আছি, আমাকে একদিন শুধু ডাক্তার দেখেছে।আমাদের গরীব মানুষের চিকিৎসা নাই।
আরো মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা মেরাবজন জন বেগম জানান, মুই ৭ দিন ভর্তি হবার হছুং, ডাক্তার বাসায় দেখাছু আর আজ এখনা দেখছে, ভালো করে দেখেনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু শফি মাহমুদ বলেন- অনেক সময় রোগী বেডে না থাকার কারণ তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হয় তবে এরকম ঘটনা না হওয়ারে কথা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যসেবা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ