পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সরাসরি ব্যবস্থাপনায় না খেয়ে মারা যায়নি, স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃত্যুবরণ করেনি সিলেট এবং সুনামগঞ্জের বন্যার্ত কোন মানুষ। বন্যার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সকল স্তরের প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতর এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তার পরিপ্রেক্ষিতে অসহায় বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, অনেকেই আমাদের সমালোচনা করছেন। কেউ সমালোচনা করতেই পারে। তবে যারা সমালোচনা বেশি করেন তারা কাজ কম করেন। আর যারা কাজ করেন তারা কারো সমালোচনা করার সময় পান না। ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পানি ঢুকে যায়। নিচতলায় বিভিন্ন কক্ষে ৩ হাত পরিমাণ পানি ছিল। জেনারেটর রুমে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হয়। তবে আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা থেকে বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করি। যার ফলে ওসমানী হাসপাতালে রোগীদেরকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল এবং যে সময় যা দরকার, যে চাহিদা সেগুলো পূরণ করেছি। আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং এগিয়ে এসেছে বন্যার্তদের সহযোগিতায়।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যেভাবে বিগত সময়ে করোনা মোকাবেলা করেছি আমরা, যেভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, ঠিক সেভাবে বন্যা পরবর্তী রোগবালাই ছড়ালে সেগুলোও মোকাবেলা করার সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বন্যাকবলিত প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং টিমগুলো কাজ করছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
গতকাল সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রথমে সুনামগঞ্জে ও পরে সিলেটে আসেন মন্ত্রী। হেলিকপ্টারে চড়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। গতকাল সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওয়ানা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আকাশে উড়ে তারা প্রথমে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন। সেখান থেকে তাঁদের বহনকারী হেলিকপ্টার সিলেটের আকাশে চক্কর দেয়। সকাল ১১টার দিকে সেটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রী যান ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে করণীয় প্রসঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। পরে হাসপাতাল প্রাঙ্গনেই বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রায় ৭ হাজার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণসহায়তা প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।