পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় সরগরম হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের রাজনীতি। চায়ের আসরে শুরু হয়ে গেছে জমজমাট আলোচনা। শীতের মধ্যেও উত্তাপ বাড়ছে ভোটের হাওয়ায়। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকেরা মাঠে নেমে পড়ছেন। শুরু হয়ে গেছে শুভেচ্ছা আর কুশল বিনিময়ের আড়ালে ভোটের প্রচার।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে পুরনো তফসিলে আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিকের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মুহূর্তে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থী এবং সমর্থকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। নতুন উদ্যমে মাঠে নামার প্রস্তুতিও শুরু করে দেন প্রার্থী এবং সমর্থকেরা। বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থী বাসাবাড়িতে নেতাকর্মীদের ভিড় জমে যায়। ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণায় অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাসাবাড়িতেও ছিল কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। নগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। হাটে-বাজারে, পাড়া-মহল্লায়, মানুষের জটলা, আড্ডায় উঠে আসে ভোটের আলোচনা।
গত ১৬ ফেব্রæয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যেই করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ভোট পিছিয়ে দেয়ার দাবি উঠে। জনদাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। শুধু তাই নয়, করোনার মধ্যেও নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করা হয়। অবশেষে গত ২১ মার্চ সিটি নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফের সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে চসিকের নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গত ৫ আগস্ট মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথে মেয়রের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আ জ ম নাছির উদ্দীন। আইন অনুযায়ী চসিকে নিয়োগ করা হয় প্রশাসক। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সিটি প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে নির্বাচন স্থগিত হলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশিরভাগ প্রার্থী নানা কৌশলে ভোটের প্রচার অব্যাহত রাখেন। করোনায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কিংবা জনসচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচির আড়ালে চলে ভোটের প্রচার, গণসংযোগ। এর মধ্যে বড় দলের প্রার্থীরা কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে নেন। করোনাসহ বিভিন্ন রোগে চারজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মারা যান। সেখানে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।
এবারের চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্টের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলনের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চসিক নির্বাচনের ভোট হয়। নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও করোনার কারণে ভোটগ্রহণ হয়নি। তবে নির্বাচনের প্রার্থীরা এবার ভোটের প্রচারে দীর্ঘ সময় পেয়েছেন। ভোট স্থগিত করা হলেও প্রার্থীরা ঘরে বসে নেই। নানা কৌশলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের এ প্রচারে নতুন গতি এসেছে ভোটের নতুন তারিখ নির্ধারণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।