Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাইনালে খুলনা, ঢাকার সঙ্গী চট্টগ্রাম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। এই ম্যাচে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গতকাল দিনের আরেক ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইলো মুশফিকুর রহিমের দল বেক্সিমকো ঢাকা। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল তামিম ইকবালের দল।
গতকাল ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পাহাড় দাঁড় করে খুলনা। দলের পক্ষে ৮০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম।
খুলনার দেয়া ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। তারা দলীয় ২৭ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারায়।
ওপেনার সৌম্য সরকার প্রথম বলেই মাশরাফিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন শামীম হোসেনের হাতে। এরপর আরেক ওপেনার লিটন দাস মাশরাফির স্লােয়ার বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে একটি বড় জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
জয় ব্যক্তিগত ৩১ রানে মাশরাফিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ইমরুলের হাতে ধরা পড়েন। এরপর বেশিক্ষন টিকতে পারেননি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মিঠুন। আরিফুল হকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। শেষ দিকে মোসাদ্দেক এবং সৈকত আলীও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মোসাদ্দেক ১৭ এবং সৈকত ৫ রান করে ফিরলে আর জয় পাওয়া হয়নি চট্টগ্রামের। মাশরাফির বলে উপর দিয়ে কাট করতে গিয়ে শামসুর রহমান আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষদিকে রানের খাতা খোলার আগেই মুস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে ৫ উইকেটের দেখা পান মাশরাফি। চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত অল আউট হয় ১৬৩ রানে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই খুলনাকে উড়ন্ত স‚চনা এনে দেন জাকির হাসান এবং জহুরুল ইসলাম। এই দুজনে যোগ করেন ৭১ রান। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জাকির ফিরে গেলে ইমরুল আউট হয়ে যান ২৫ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে জহুরুল ৫১ বলে ৮০ রানের এক মারকাটি ইনিংস খেলেছেন।
এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি ছক্কা এবং ৫টি চারের মার মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ের পর উইকেটে এসেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
তিনি শরিফুলের এক ওভারেই নিয়েছেন ২০ রান। এরপর তিনি ৯ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন। এর মধ্যে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন দ্রুত রান তোলা আরিফুল হক (১৫)। শেষ ওভারে সাকিব ১৫ বলে ২৮ রানের রানের ইনিংস খেলে আউট হন। শামীম হোসেনও রান আউট হয়ে ফিরলে মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং শুভাগত হোম খুলনার বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন সঞ্জিত সাহা এবং মোসাদ্দেক হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ