পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্যস্ততা। পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। গতকাল এমন দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশ এলাকায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হকাররা ফুটপাতে টুকরি ও চৌকিতে দোকান নিয়ে বসে আছেন। আর ক্রেতারা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভিড় করছেন ওই দোকানগুলোতে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ ও জিপিও এর মধ্যবর্তী রাস্তায় গিয়ে দেখে গেছে, পুরো রাস্তা দখল করে নিয়েছে হকাররা। এছাড়াও রাস্তার মধ্যে পার্কিং করা হয়েছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল। অবৈধ গাড়ি পার্কিং থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। বায়তুল মোকারম ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। নিয়মিত চাঁদা দিয়েই ব্যবসায় পরিচালনা করছেন বলেও জানান তিনি।
ফার্মগেট এলাকার বাসিন্দা তুহিন ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তিনি প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে বায়তুল মোকারম জামে মসজিদে আসেন। কিন্তু ওই মসজিদের আশপাশ এলাকায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি চক্র। এতে ফুটপাতে হাঁটার জায়গাও নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ।
শুধু বায়তুল মোকারম এলাকাই নয়, একই অবস্থা পল্টন, মতিঝিল ও গুলিস্তান এলাকায়ও। আর ওইসব এলাকা থেকে চাঁদা আদায় করার জন্য রয়েছে একটি চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা নিয়মিতই চাঁদা সংগ্রহ করে থাকেন। তাদের মধ্যে পল্টনস্থ বাসস অফিসের সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন আদালত থেকে নিষিদ্ধ হকার্স সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসেম কবির, তার সহযোগী মুকিদুল ইসলাম শিমুল ও হযরত আলী। বায়তুল মোকারম পূর্ব গেটের বন্ধ রাস্তার হকার্সদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন পল্টন থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়দানকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী দুলাল, সেকেন্দার হায়াত ও আরিফ চৌধুরী।
বায়তুল মোকারম পশ্চিম পাশের ফুটপাত থেকে থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন অবৈধ সংগঠন হকার্স সংগ্রাম পরিষদের নেতা চাঁটগাইয়া হারুন ওরফে বাটপার হারুন, খোকন মজুমদার, মিজান, মোস্তফা ও জাহাঙ্গীর। বায়তুল মোকারম উত্তর পাশের ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায় করেন সাজু, মন্টু, কালানুরু, আব্দুল্লাহ খোকন ও সবুজ।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এক নম্বর গেটে বাবুল, তার দুই ছেলে আকাশ ও হৃদয়, ২ নম্বর গেট ও ভাষানি স্টেডিয়ামের পাশে চাঁদা সংগ্রহ করেন আলী, গফুর, বায়তুল মোকারম লিং রোডে কোটন, ফারুক, জিপিও এর দক্ষিণ পাশে বুড়া ছালাম, নজরুল মুক্তাঙ্গনের পাশে নাছির, আলমঙ্গীর, মনির, হাউজ বিল্ডিং এর পাশে ফলপট্টিতে ওসমান, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, কমিউনিস্ট পার্টি অফিসের সামনে হানিফ, কালাম, আবুল হোসাইন, এল মল্লিক বিল্ডিং এর সামনে পল্টন মোড়ে বিল্লাল, টিটু, আহাদ পুলিশ বক্সের দক্ষিণ পাশে সাইদের ছেলে রিপন, জনি, জয়নাল, আহাদ বক্সের উত্তর পাশে লম্বা হারুন ও ফোন বক্সের দোকান নামধারি শাহিন।
সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেটের পূর্ব পাশে সেলিম, জয়নাল, লম্বা বাবুল, ভোলা, সালেক, আবু সাইদ, রজ্জব, গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার এর পশ্চিম পাশে বিমল, মিন্টু, হান্নান সিদ্দিকি, গুলিস্তান হলের সামনে টাকা ওয়ালা বাবুল, খোরশেদ ওরফে বড়মিয়া, কালাম, বাচ্চু, সুলতান, আহাদ বক্সের সামনে নয়ন মুন্সি হান্নান, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সামনে লিপু, শহিদ, রমনা ভবনের পশ্চিম পাশে মনির, শফিক, খদ্দর মার্কেটের সামনে কাদের ও মো. আলী, রাজধানী হোটেলের সামনে কালানবী, রব, সেলিম, নাছির, পূর্ণিমা স্ন্যাক্স ও অগ্রণী ব্যাংকের সামনে আক্তার, জাহাঙ্গীর, দুলাল, শাহবুদ্দিন, সোনালী ব্যাংক ও খাবার দাবার হোটেলের সামনে জুয়ারী সালাম, রহিম, অপু, বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে খলিল, তাজু, নবী, আনোয়ার, ওসমানী উদ্যানের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে গাউরা বাবুল, লম্বা শাহজাহান, হিন্দু শাহিন, মোহন, বাচ্চু, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে একাধিক মামলার আসামি সাইফুল মোল্লা, তার দুই ছেলে সিবলু, হোসাইন, মোহর আলী, শাহ জাহান, টিপু, বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর পাশে ইয়াবা ও গানজুট্টি হারুন শহীদ, মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে মকবুল, সাইদ, ফারুক, বক চত্ত্বরে মান্নান মোল্লা, নুরুল ইসলাম, কালা কাশেম, ইউসূফ, নিউ মার্কেটে জুতা সেলিম, চুন্নু, আলামিন, জয়কলি মন্দির এলাকায় মহসিন ও তার বৌ রিতা বেগম।
সূত্রমতে, হকার উচ্ছেদের নামে চোর-পুলিশ খেলা চললেও তাদের প্রশ্রয়ে প্রতিদিন দোকান পেতে বসে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার হকার। ফুটপাত থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা দৈনিক চাঁদা পায় প্রায় ৩ কোটি টাকা। যা কয়েক স্তরে বন্টন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।