পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতের সম্ভাব্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত কয়েকজন কর্মকর্তা বুধবার পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনকে এমনটি জানিয়েছেন। ডনের প্রতিবেদনে ওই কর্মকতাদের বরাতে বলা হয়েছে, লাদাখ ও ডোকলামে ‘অপমানজনক পরাজয়ের’ পর ভারত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) ওপর ও পুলওয়ামার বিদ্যমান সীমান্তের অপর পাশে পাকিস্তানি অংশে আরেকটি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
এরআগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করে কাশ্মিরের পাকিস্তান অংশে সন্দেহভাজন জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালানোর দাবি করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তখন ওই হামলাকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছিল তারা; অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত করা হয়েছে, আশেপাশে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আজাদ কাশ্মীরের অংশে ভারতের হামলার এ দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পাকিস্তানি ভ‚খÐের কথিত জঙ্গি ঘাঁটিতে একই ধরনের হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। তবে ওই সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর গুলিতে দুটি ভারতীয় বিমান ভ‚পাতিত হয় ও ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে তারা।
পরে অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেছেন, চলমান কৃষক আন্দোলনসহ বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বিশ্বের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিতে একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের’ পরিকল্পনা করছে ভারত। “অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে ভারত যেকোনো সময় পুলওয়ামার মতো নাটকের পুনরাবৃত্তি করতে পারে। তারা এলওসি ও কার্যকরী সীমান্ত বরাবর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে,” বলেছেন তিনি।
ভারত ইতোমধ্যেই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বুধবার বিকালের দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণ করে দুই পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা ও একজন বেসামরিক নারীকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। পাকিস্তানি বাহিনীগুলো ভারতের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বলে পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।