পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি কার্ড সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
হাসান জাহিদ জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটা যুবসমাজ আছে, যারা কাজে অত্যন্ত দক্ষ। সুইজারল্যান্ড যদি এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করে, তবে উভয় দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, উদার বিনিয়োগ নীতি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, অবকাঠামো সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের জনসম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বড় জনশক্তি রয়েছে। বিভিন্ন রকম কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এই জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যাতে এই জনসম্পদকে দেশের উন্নয়নে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানে আরও সুযোগ রয়েছে, আরও বিনিয়োগের অনেক সম্ভবনা রয়েছে। মানবদক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ তারা লক্ষ করেছে। এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশ সরকারকে সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশকে যতরকম সহায়তা দেওয়া সম্ভব, তারা সে চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সংকটময় সময়ও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে তিনি মুগ্ধ। করোনার কারণে তিনি বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে পারেননি, জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি প্রথম সুযোগে বাংলাদেশের সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে আগ্রহী।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজের সামর্থ্যে পদ্মা ব্রিজ তৈরি করছে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যে যোগাযোগ সৃষ্টি হবে, সেটা সরাসরি আমাদের জিডিপিতে অবদান রাখবে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর প্রভাব দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পড়তে শুরু করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, যেমন সোলার প্যানেল বসানো, অবকাঠামোসহ গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশকে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ধরনের যেকোনও কাজে সুইস সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত, সবার জন্য আবাসন, সবার জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশের সফলতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রনীতি বঙ্গবন্ধুকে আকৃষ্ট করেছিল সে কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সুইজারল্যান্ডের নিরপেক্ষতা এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়—সুইজারল্যান্ডের এই দর্শন বঙ্গবন্ধুকে আকৃষ্ট করেছিল। তিনি বলতেন, তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড অব দ্য ইস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।