পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জমাকৃত অর্থ সম্পর্কে কেন সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাওয়া হয়নি- তার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ এই কারণ জানতে চান। আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে।
বেঞ্চটিতে দায়িত্বপালনকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে নির্দিষ্ট করে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য কেন চায়নি, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী রোববারের মধ্যে দুদক ও সরকার পক্ষকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, বিচারপতিরা সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পড়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদ কপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময় দুদক ও সরকারপক্ষীয় আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন আদালত। এ সময় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি টেনে আদালত জানতে চান কী পরিমাণ অর্থ সুইচ ব্যাংকে পাচার হয়েছে? এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে সরকার পক্ষীয় আইনজীবী এবং দুদকের আইনজীবী আদালতকে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তাই এ বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে রোববারে মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত। আগামী রোববার এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। আদালতে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশীরা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশী ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। যা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অংক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতিবছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কি-না, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
নাথালি চুয়ার্ড বলেন, তথ্য পেতে হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে আমরা সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। দুইপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরণের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড কাজ করছে বলেও জানান এই রাষ্ট্রদূত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।