Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন : মেয়র পদে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন সাইফুল ইসলাম

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪১ পিএম

নাটোরের গোপালপুর পৌরসভাকে আধুনিক ও পরিছন্ন পৌরসভা গড়তে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের
দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের দুই দিন বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে তা জমা দিয়েছেন মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।
দলীয় মনোনয়ন ফরম জমাদিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আসন্ন পৌর নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে দীর্ঘ ২০ বছরের অবহেলিত এই পৌরভাকে আলোকিত, মাদমুক্ত, আধুনিক ও পরিছন্ন পৌরসভা গড়তে চান তিনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদিনই পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডে দিন-রাত বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ও তার নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন।
তিনি আরো বলেন, এই পৌরসভায় বিগত ২০ বছরে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী মেয়র হতে পারেনি। প্রতিবার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় এই পৌরসভা আজও অবহেলিত ও নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেননি তারা। ফলে নাগরিকরা তাদের প্রাপ্য মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই অবহেলিত পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা গড়তে ও পৌরবাসির ভাগ্য পরিবর্তন করতে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দেবেন বলে মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন তিনি ।
তিনি আরো বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিবারে তার জন্ম এবং স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে তিনি সম্পৃৃক্ত। ১৯৮৬-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি গোপালপুর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ সলে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ১০ নভেম্বর তৎকালিন সংসদ শহীদ মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে স্বৈরাচারী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন এবং নূর হোসেন হত্যার প্রত্যক্ষদর্শি ছিলেন। পরে ১৯৯২ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে প্রথম কারাবরণ করেন। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয়বার বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কারাবরণ করেন। ২০০৩ সালে ৬ জুন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে গণআন্দোলন সংগঠিত করেন এবং ২০০৫ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামীলীগকে সুুসংগঠিত করার অপরাধে তৃতীয় বার গ্রেফতার ও কারাবরণ করেন। ২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে লালপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালে ১৬ই জুন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জননেত্রীর মুুক্তির আন্দোলনে সংক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
২০১৪ সালে কাউন্সিলে লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বর্র্তমানে সফল ভাবে দায়িত্ব পাল করছেন।’
সব সময় পৌরসভার ত্যাগী, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের পক্ষে থেকেছি। ৮ই মার্চ থেকে জননেত্রীর নির্দেশে করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই আমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে এই পৌর বাসির সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারী গোপালপুর পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৌরসভা নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ