পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্ত হলো বহুল আকাঙ্ক্ষার পদ্মার দুই পাড়। দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের পুরো পদ্মা সেতু। সেই সাথে উচ্ছ্বাস ছড়ালো গোটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাস্তব রূপ পায় পুরো পদ্মা সেতু। মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয় পুরো সেতু দৃশ্যমান হওয়ার বিভিন্ন ছবি। এসব ছবি শেয়ার করে নানা মন্তব্য, আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
অধিকাংশের মন্তব্য, উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান হওয়া মধ্য দিয়ে নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।
ডা. ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, ‘‘পুরো কাঠামো দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কি.মি আজ দৃশ্যমান হলো। নিজেদের টাকায় এতোবড় সেতু নির্মাণ যেনো বাংলাদেশের আরেক বিজয়। সাবাস বাংলাদেশ! সাবাস শেখ হাসিনা! অন্য অনেক বিষয়ে যে যতো সমালোচনাই করি এই সাহস, এই বিজয়ের নেতা আপনি। আপনাকে অভিনন্দন।’’
মাহমুদুল হক জালীস লিখেছেন, ‘‘এমন আনন্দের সময় - উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকার ভাস্কর্য আর মূর্তির উত্তাপ না ছড়ালে পদ্মার এই সফলতার আনন্দ আরো সার্বজনীনভাবে ছড়িয়ে পড়তো। বাংলার ঘরে ঘরে খুশির রোল পড়তো। এযেন ৭১রের পরে নতুন আর এক বিজয়! তবুও ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। ঘৃণা পদ্মা সেতু নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে এবং কুৎসা রটিয়েছে তাদের প্রতি।’’
মো: আরিফ হোসেন লিখেছেন, ‘‘যমুনা সেতু হওয়ার আগে উত্তরাঞ্চলের মানুষের কাছে এই সেতু স্বপ্নের ছিল!এটা হওয়ার পরে উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন বোঝে তাদের জন্য যমুনা সেতু কি! যারা দক্ষিণের নদীর ঐ পাড়ে থাকে তাদের কাছে পদ্মা সেতু স্বপ্নের চেয়েও বেশি। তাঁরাই বোঝে এর মূল্য কতটুকু। বাকিরা পারে খালি এটাকে নিয়ে ট্রল করতে, আফসোস বাংলাদেশ।রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি!’’
মাহমুদ সেলিম লিখেছেন, ‘‘এটা শুধু একটা সেতু হিসেবে খ্যাত নই! এটা সাড়ে ৫ কোটি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করা,এটা একটি দেশের অর্থনীতিকে সফলতার শিকড়ে পৌছিয়ে দেয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।এখন আর কারো সন্তান/পিতা-মাতা/ভাই-বোনকে যাতায়াতের কারনে প্রাণ হারাতে হবেনা,এখন আর কেউ বলবে না কুয়াশার জন্যে ফেরী চলেনা বিদায় বাড়ি যেতে পারেনা।বর্ষায় বাড়ি যেতে আর কেউ ভয় পাবেনা।’’
সৈয়দ নাজমুল হুসাইন লিখেছেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে অকল্পনীয় একটি মেগা প্রজেক্ট, তাও আবার নিজস্ব অর্থায়নে; অদম্য সাহস ও প্রাণপণ প্রতিজ্ঞা এর উজ্জলতম উদাহরণ হয়ে থাকবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছালাম প্রাইম মিনিস্টার!’’
আব্দুল্লাহ হাসানের মন্তব্য, আলহামদুলিল্লাহ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যুক্ত হয়ে গেলো রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে। এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে পদ্মা সেতু। আজ বসেছে সর্বশেষ স্প্যান, পেয়েছে সংযোগ। পদ্মা সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। ২/৩ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ.।’’
মো: শাহাদাত হোসাইন রবিন লিখেছেন, ‘‘সাধারন মানুষের কষ্টের উপার্জনের টাকা আর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় আজ সফল হয়েছে,,এখন সব থেকে বড় কাজ হচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা, তা না হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে পরবে,,।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।