মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। মেডিসিন জার্নাল দ্য ল্যানসেটে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এদাবি করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে এই সফলতার বড় ধরনের প্রভাব থাকবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এটিই প্রথম পিয়ার-রিভিউড বিশ্লেষণ।
বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করছেন। তাদের প্রত্যাশা, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমোদন পাবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড বলেছেন, ‘আজ আমরা চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যবর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা ভালো।’
যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এটি ৭০.৪ শতাংশ কার্যকর। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যে গোষ্ঠী দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতার হার ৬২.১ শতাংশ। তবে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকার ডোজ কাজ করতে বেশি সময় লাগছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদনে খরচ কম এবং অল্প ব্যয়ে বিপুল সংখ্যক ডোজ উৎপাদন করা যাবে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের মতো এটিতে অতিরিক্ত শীতল তাপমাত্রায় রাখতে হবে না। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও চলছে। এছাড়া ভ্যাকসিনটিতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দশ কোটি ডোজ কেনার অর্ডার দিয়ে রেখেছে।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বুধবার বলেছে যে, তারা একটি চীনা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় ৮৬ শতাংশ কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইউ.এ.ই’র স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় বলেছে যে, তারা চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিনোফার্মের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যগুলির একটি অন্তর্র্বতী বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করেছে, যাতে দেখা গেছে, কোকিড-১৯ থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের ভ্যাকসিন ৮৬ শতাংশ কার্যকারীতা দেখিয়েছে। উপাত্তগুলি চীনের রাজনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক জয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে, যেখানে আরও তিনটি ভ্যাকসিন পরবর্তী-পর্যায়ের পরীক্ষায় রয়েছে।
ইউ.এ.ই’র ঘোষণা সম্পর্কে চীনা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ঘোষণাটি এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ইউ.এ.ই’র স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জনে একটি উল্লেখযোগ্য ভোট।’ ইউ.এ.ই’র তথ্য ভ্যাকসিনের সামগ্রিক কার্যকারিতার চ‚ড়ান্ত সূচক নাও হতে পারে। করোনা ঝুঁকিতে থাকা ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য দেশটি ইতিমধ্যে গত সেপ্টেম্বরে জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি অনুমোদন করে। তবে, তারা গণ টিকা কর্মসূচি শুরু করবে কিনা তা জানা যায়নি।
সিনোফার্ম ১০ টি দেশে ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে, যা থেকে এখনও পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এবং তাদের তুলনায়, ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনগুলি ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে। অন্যদিকে, মরোক্কো বলেছে যে প্রাথমিকভাবে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করে তারা ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইম্স, টাইম্স অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।