নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিংবদন্তি বিদায় নিয়েছেন দুই সপ্তাহ হতে চলল। কিন্তু শোক এখনো কাটেনি। এখনো ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতির পাতায় আবেগ জাগিয়ে যাচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। শোককে শক্তিতে রূপ দিয়ে এরই মধ্যে দারুণ একটি কাজ করেছে নাপোলি। ম্যারাডোনার প্রিয় নেপলস শহর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নাপোলির স্টেডিয়ামের নামই বদলে ফেলছে। স্তাদিও ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনাতে এখন থেকে খেলবেন কুলিবালি-ইনসিনিয়েরা।
ভালোবাসা জানানোর ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনাই বা কেন পিছিয়ে থাকবে? এ কারণেই ম্যারাডোনাকে দেশটির ইতিহাসে চিরস্থায়ী জায়গা করে দেওয়ার চিন্তা করছে। ম্যারাডোনার ছবিসংবলিত ব্যাংক নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নোটের একদিকে ম্যারাডোনার ছবি থাকবে, অন্যদিকে থাকবে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা গোলের মুহ‚র্তটি। আর্জেন্টিনার মুদ্রার এক হাজার বা এর বেশি ম‚ল্যমানের নোটগুলোতে ছাপা হবে ম্যারাডোনার ছবি।
আর্জেন্টিনাকে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় দুটি গোল করেছিলেন এই কিংবদন্তি। প্রথম গোলটি তো বিতর্কিত সেই হাত দিয়ে করা গোল। আর দ্বিতীয় গোলটি করার স্বপ্ন দেখেন প্রতিটি ফুটবলার। ম্যারাডোনার সেই কীর্তিকে ব্যাংক নোটে স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রেন্তে দে তোদোস রাজনৈতিক দলের নেত্রী নোর্মা দুরানগো। তিনি রেডিও লা রেডকে বলেছেন, ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এটা করা হবে। তার জীবন ও ক্যারিয়ারটা অনন্য। ভুলত্রæটির ঊর্ধ্বে ছিলেন না, এটাই তাঁকে গ্রিক পুরাণের নায়কদের মতো বানিয়েছে। অন্তত নিৎশার (জার্মান দার্শনিক) ‘দ্য বার্থ অব ট্র্যাজেডি’তে এমনটাই তো দেখিয়েছে।
আপাতত যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে ব্যাংক আর্জেন্টিনাকে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এক হাজার আর্জেন্টাইন ডলার বা তার বেশি মূল্যমানের কমপক্ষে অর্ধেক নোটে ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার ছবি একদিকে দিতে বলা হয়েছে। নোটের অন্যদিকে ১৯৮৬ সালের ২২ জুন মেক্সিকোতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা দ্বিতীয় গোলের মুহ‚র্ত দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী বছর ম্যারাডোনার পুরো ক্যারিয়ারের মুহ‚র্তগুলো নিয়ে স্ট্যাম্প ছাপানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ম্যারাডোনা খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনার হয়ে যত ক্লাবে খেলেছেন এবং কোচিং করিয়েছেন, তার সব স্মৃতি এভাবে ধরে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।