Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হুমকির ওপর অসঙ্গতভাবে মনোযোগ দেয়ায় ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪৭ পিএম

নিউজিল্যান্ডে মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি ব্যর্থ হওয়ায় এবং মুসলিমদের ওপর হামলা ও তদন্তের ঘাটতির জন্য ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। তিনি হামলার বিষয়টিতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও তদন্ত কমিটির ব্যর্থতা রয়েছে বলে স্বীকার করেন। ৮০০ পাতার প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে বলা হয়, ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হুমকির ওপর অসঙ্গতভাবে মনোযোগ দেয়া হয়েছিল। -দ্য গার্ডিয়ান
ক্রাইস্টচার্চ হামলার তদন্ত কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ড পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছিলো, তবে হামলা আটকানো ছিলো অসম্ভব ব্যাপার। তদন্ত প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়, নিউজিল্যান্ড পুলিশের পুরো মনোযোগই ছিলো ইসলামি সন্ত্রাসবাদের দিকে। মুসলিমরাও যে অন্য ধর্মের মানুষের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন, তা তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। কমিশনের মতে, বাংলাদেশি কোনও ক্রিকেটারের গায়ে আচড় পড়লে, সেই ক্ষত কখনই পূরণ করতে পারতো না নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডে গত বছর দু’টি মসজিদে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক ব্যক্তির সন্ত্রাসী হামলায় ৫১ জন মুসলিম নিহত হন। এই হামলার আগে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ‘প্রায় একতরফাভাবে’ সম্ভাব্য ইসলামি সন্ত্রাসবাদের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। ফলে এমন ধরনের ঘটনা ঘটে বলে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য পুলিশের সমালোচনা করা হয়েছে। হামলার আগে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি বর্ণবাদী ইশতেহারও পোস্ট করেছিল এ সন্ত্রাসী। গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মুসল্লিদের হত্যার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়েছিল। এসব ত্রুটি সত্ত্বেও সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো ব্যর্থতা খুঁজে পায়নি ওই প্রতিবেদন। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চের ওই হত্যাকাণ্ড তারা প্রতিরোধ করতে পারত কিনা; এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্যারেন্টকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হামলার পর মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন আরডার্ন। ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর ব্যবহার করা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিক্রি তিনি দ্রুতগতিতে নিষিদ্ধ করেন। অনলাইন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনও শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তবে হেট-ক্রাইম বা বিদ্বেষমূলক অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে গুরুত্ব না দেয়ায় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা হয়েছে।

 

 



 

Show all comments
  • ইমাম হাসান ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩৫ পিএম says : 0
    এখন আল্লাহ যেন তার ইসলাম গ্রহণকরার তাওফিক দেন
    Total Reply(0) Reply
  • sadman ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:২৪ পিএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা যেন উনাকে ইসলামে দাখিল করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • জহিরুল ইসলাম ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:১৩ পিএম says : 0
    আল্লাহ তুমি উনাকে ইসলামের জন্য কবুল কর
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ