Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগ ও চীনের সাথে সম্পর্কের তিক্ততা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:২২ পিএম

সম্প্রতি একজন চীনা কর্মকর্তার একটি ভুয়া যুদ্ধাপরাধের ছবিসহ একটি বিবাদ সৃষ্টিকারী টুইট অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদদের উদ্বেগকে আরো অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। টুইটারে দেখানো হয়েছে, একজন অস্ট্রেলিয়ান সৈন্য এক আফগান শিশুর গলায় রক্তাক্ত ছুরি ধরে আছে, এর নীচে লেখা আছে যে 'ভয় পাবেন না ' আমরা আপনার জন্য শান্তি বয়ে আনতে আসছি।’ পরিবর্তিতে চিত্রটি চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র লিজিয়ার ঝাও একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। -বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, ইকোনোমিক টাইমস


এটিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক উভয় পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এটিকে ‘আপত্তিকর’ আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। চীনও ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছে।অস্ট্রেলিয়া দাবি করেছে, এই ছবি বানোয়াট। অস্ট্রেলীয় সৈন্যদের বিরুদ্ধে দুজন ১৪ বছরের আফগান কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার যে অভিযোগ খবরে এসেছিল, সেই অভিযোগের কথা আরও বেশি করে তুলে ধরার লক্ষ্যে চীন এই ছবি পোস্ট করেছে মনে করছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন খবর দিয়েছিল যে, এডিএফ-এর প্রতিবেদনে ওই অভিযোগের সমর্থনে কোন তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয়নি। আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান সৈন্যদের দ্বারা পরিচালিত অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ব্রেইটনের তদন্তের পরেই এটা প্রকাশ করা হলো।

গত মঙ্গলবার ১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় অস্ট্রেলিয়ার ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এই টুইটটিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং তার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অপর মুখপাত্র হুয়া চুনিং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়াকে ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন । লুই ইনস্টিটিউটের চীন বিশ্লেষক, নাতাশা কাসাম উল্লেখ করেন যে, গত বছরে আরও বেশি বেশি চীনা কর্মকর্তা টুইটারে সক্রিয় ছিলেন এবং পশ্চিমা কর্মকর্তাদের সাথে ঝগড়া করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছেন। চাইনিজ অস্ট্রেলিয়ান ফোরামের সভাপতি জেসন ইয়েট-সেন লি বলেন, চীনা বিদেশি মুখপাত্র অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে মূলত ট্রল করছে এবং প্রধানমন্ত্রীর আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া এ ক্ষেত্রে ভাল হয়নি। ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ বাড়ছে।


উ্লেখ্য, গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি ঘটছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ একমত যে, এর পেছনের মূল কারণটি এই সময়কালে অস্ট্রেলিয়া গৃহীত চীন বিরোধী ব্যবস্থা। এপ্রিল মাসে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিশন করোনাভাইরাস উৎস সম্পর্কে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যার প্রথম মামলা ওহান-এ প্রকাশিত হয় বলে উল্লেখ করেন। করোনার উৎপত্তিস্খল উদঘাটিত হওয়ার ভয়ে চীন অস্ট্রেলিয়াকে লাইনে দাঁড় করানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছিল বলেও জানা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ