মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার ইসরাইলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলো সউদি আরব। বাহারাইন সিকিউরিটি সামিটে গিয়ে ইসরাইলের সমালোচনায় মুখরিত হলেন সউদি যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সল আল সউদ। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেছেন, ”যতক্ষণ স্বাধীন ফিলিস্তিন না হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরাইল যেন আরব দুনিয়ার আর কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন না করে।” তিনি যখন এই কথা বলছেন, তখন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সেখানে ছিলেন। সম্প্রতি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বাহারাইন ও আমিরাতের প্রতিনিধিদের ইসরাইল তাদের দেশে ধুমধাম করে স্বাগত জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সউদির এই আক্রমণের মুখে পড়ে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন ইসরাইলের পররষ্ট্রমন্ত্রী। -ডয়চে ভেলে
এই শীর্ষ বৈঠকের নাম দেয়া হয়েছে মানামা ডায়লগ। সেখানেই সউদি আরবের যুবরাজ বলেন, “ইসরাইল নিজেকে শান্তির দূত হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের বাস্তব ছবিটা হলো, তারা একটি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধীনে আছে। ইসরাইল তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণ দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে অত্যাচার করছে। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ কেউই ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। ইসরাইল ইচ্ছেমতো ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ধ্বংস করছে, যাকে খুশি মেরে ফেলেছে।” সউদি যুবরাজের ভাষা ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি সোজাসাপটা অভিযোগ করেন, “ইসরাইলের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে। আর তারা ও তাদের পেটোয়া মিডিয়া সমানে সউদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রক্তপিপাসু হত্যাকারী আছে, যারা সউদির অস্তিত্বকেই মুছে ফেলতে চায়। তারপরেও ইসরাইল প্রচার করে যে, তারা সউদির বন্ধু হতে চায়।”
তার মতে, সমস্যার সমাধান একমাত্র তখনই হতে পারে, যখন ইসরাইল ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ড ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনকে মেনে নেয়। তা হলে আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হতে পারে। এরপরেই বলতে উঠে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি প্রতিনিধির মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ। মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তন আসছে। সউদির প্রতিনিধির কথায় তার ছাপ নেই। তার মতে, শান্তিচুক্তি না হওয়ার জন্য ফিলিস্তিন দায়ী। বিকল্প দুটি। ফিলিস্তিনকে সমস্যার সমাধান মেনে নিতে হবে, না হলে এ রকম দোষারোপ চালিয়ে যেতে হবে। যখন এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলছে, তখন বাহারাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মঞ্চে ছিলেন। তিনি অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।