মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন সংস্থা ফাইজার ও জার্মানীর বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিল বাহরাইন। ব্রিটেনের দ্বিতীয় দেশ হিসাবে তারাই এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে। এবার ভারতের বাজারকে টার্গেট করছে ফাইজার। এক সংবাদসংস্থা সুত্রের দাবি, এবার ভারতেও নিজেদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। প্রথম সংস্থা হিসেবে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে ছাড়পত্র চাইল তারা।
বাহরাইনের জাতীয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের প্রধান মারিয়ম আল-জালাহমা বলেন, ‘কোভিডের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ তবে ফাইজারকে সরকারি ছাড়পত্র দেয়া হলেও, ভ্যাকসিন দেয়া কবে থেকে শুরু হবে, তা স্পষ্ট করে জানায়নি বাইরাইন। যুক্তরাষ্ট্রে এর ভবিষ্যত নির্ভর করছে ১৭ ডিসেম্বরের বৈঠকের উপর। ওই দিন এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়া হবে কি না, তা স্থির হবে। তার আগে মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে বৈঠক বসবে ১০ ডিসেম্বর। তবে কোনও ভ্যাকসিনকে আমেরিকায় সরকারি ছাড়পত্র দেয়া হলেও, তা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে না।
এদিকে, ভারতে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ বা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হলেও, ফাইজারের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়নি। তাই গত বুধবার যখন ব্রিটেন এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল, তখনও তা অদূর ভবিষ্যতে ভারতে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু শনিবার একপ্রকার সবাইকে চমকে দিয়ে ডিসিআইজি’র কাছে সরাসরি এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি চাইল ফাইজার। অন্তত এমনটাই দাবি এক সংবাদসংস্থা সুত্রের। নিজেদের আবেদনপত্রে ফাইজার জানিয়েছে,তারা ভারতে এই ভ্যাকসিন আমদানি, বিতরণ এবং বিক্রি করতে চায়। সেই সঙ্গে তাদের আরজি, ট্রায়াল ছাড়াই যাতে জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করা যায়, তা নিশ্চিত করুক সরকার।
সরকার অনুমতি দিলে এখন থেকেই সরাসরি ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা কতটা কার্যকর হবে? ফাইজার আগেই দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। শেষ দফা ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের পর কোম্পানির দাবি ছিল, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফাইজারের সেই দাবির উপর ভিত্তি করেই ব্রিটেন এবং বাহরাইন সরকার এই ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে। এখন দেখার ভারত সরকার সে পথে হাঁটে কিনা। কারণ, ভারতে এই ভ্যাকসিনের এখনও কোনও ট্রায়াল হয়নি। তাই সরাসরি বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দেয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া, ভারত সরকার আশায় বুক বেঁধেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে। সেরামের তত্ত্বাবধানে এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভাল ফলের ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই সেরামও নিজেদের ভ্যাকসিন বাজারজাত করার অনুমতি চাইবে। সেক্ষেত্রে সরকার আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করে, নাকি এখনই ফাইজারকে ছাড়পত্র দেয়, সেটাই এখন দেখার।
এমন প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার আবার জানিয়েছে, ভ্যাকসিন চলে আসা মানেই মহামারি শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সংস্থাটির ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস জানান, ভ্যাকসিন চলে এলেও আপাতত মাস্ক পরার নিয়ম ও দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। সূত্র : আরব নিউজ, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।