বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁয় বেডো জেনারেল হাসপাতালে শাবনুর বানু (৩২) নামে এক প্রসূতিকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সিভিল সার্জন অফিসে লিখিত অভিযোগ ভিত্তিতে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর -এ মুর্শেদকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করে দেন সিভিল সার্জন ডা: এবিএম আবু হানিফ।
আগামি ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির দুই সদস্যরা হলেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা: রফিকুল ইসলাম ও আশিষ কুমার সরকার।
গত সোমবার বিকেলে অভিযোগটি দায়ের করেন প্রসূতি স্বামী মিজানুর রহমান। অভিযোগকারি মিজানুর রহমান বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, শহরের বাইপাস সড়কের বোয়ালিয়া এলাকায় অবস্থিত বেডো জেনারেল হাসপাতাল মাহফুজুর রহমান(৪৭) ও ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর বেডো জেনারেল হাসপাতালে গর্ভবর্তী শাবনুর বানুকে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে পরদিন ৩১ অক্টোবর সকাল ৮ টায় সিজারের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়েরও ২৪ ঘন্টা পর ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান পহেলা নভেম্বর পর সিজার করেন। মেয়ে সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসায় শাবনুরের অবস্থার অবনতি ঘটিলে ক্লিনিকের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। তারপর তাদের কোন কথা না শুনে অসৌজন্য ব্যবহার করেন। রোগির আরো শারীরিক অবস্থা অবনিত হলে ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান ডাক্তার দায় এড়াইতে রেফার্ডের পরামর্শ দেন। এমতাবস্তায় কয়েকজন ড্রেসিং শুরু করেন। তাকে সন্দেহ হলে তিনি নিজেকে ডাঃ মুক্তাদির পরিচয় দেন এবং বলেন তিনি ডাঃ দিলরাজ বানুর স্বামী। এক পর্যায় ইসলামী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ৯ নভেম্বর রাতে ভর্তি করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করে দনে। ওই রাতেই রামেকের কর্মরত চিকিৎসক রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে আইসিইউ-তে ভর্তি করে নেন।
অভিযোগকারি মিজানুর রহমান আরো উল্লেখ করেন, বেডো জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার জন্যে তার স্ত্রী মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিল। তার মতো কেউ এই ভোগান্তি শিকার না হওয়ার জন্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
বেডো জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার মুক্তাদির হোসেন সকল ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রোগির আগে থেকেই শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তাই দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্যে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: এবিএম আবু হানিফ জানান, বেডো জেনারেল হাসপাতালে শাবনুর বানু নামে এক প্রসুতিকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ভিত্তিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।