গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অবৈধ স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মুক্তি মিলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর জহুরি মহল্লার আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীদের মাঝে ত্রান সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এটাই তার প্রথম কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে চারদিকে শুধু আগুন। মানুষের বাড়িঘর জ্বলছে। ঢাকার বস্তি গ্রাস করার জন্য দখল করার জন্য ক্ষমতাসীনরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গোটা জাতির নিরাপত্তা নাই, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই। বাড়িঘরের নিরাপত্তা নাই। বেঁচে থাকার নিরাপত্তা নাই।
তিনি বলেন, আজকে মানুষ নিজের বাড়ি ঘরে থাকতে পারছে না ঢাকার অনেক বস্তি ক্ষমতাসীনরা আগুন লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কথা বলেন। কোন স্বৈরাচারের উন্নয়নের কথায় জনগণের উন্নয়ন হয় না। জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে না।সরকারের মন্ত্রী এমপিরা যখন উন্নয়নের কথা বলেন তখন বুঝতে হবে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র চলছে।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন করোনা হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। আজকে হাসপাতালে বেড নেই। রোগীরাও চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। করোনায় মৃত্যু বরণ করছে। সরকারের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। করোনার মধ্যে সরকারের লোকেরা আগুন দিয়ে মানুষকে গৃহহীন করছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় ছাত্রদল পশ্চিম সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু, আমিনুর রহমান লিটন, এইচ এম মোজাম্মেল, মাজহারুল ইসলাম রাসেলসহ বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।