পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত। তাদের এই দুর্নীতি আড়াল করতে এখন জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। এই ষড়যন্ত্র কারা করেছে? এই সরকারই তো করেছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল ভিত্তি দুর্নীতি। ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে যে পদ্মা ব্রিজ হতো সেটা ৫০ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। এই টাকা কোথায় যাচ্ছে, এর হাজারটা প্রমান আছে।
ভাস্কর্য বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলেমদের দিয়ে যে বিতর্ক আনা হয়েছে তার জন্য আওয়ামীলীগ দায়ী। এয়ারপোর্ট এর সামনে লালনের ভাস্কর্য ছিল সেটা নিয়ে হুমকি ধামকি শুনে সরকার চুপচাপ বসে ছিল। তারা এখন শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমার একটা বক্তব্য নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, আমি সে সম্পর্কে বলতে চাই - আলেমরা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, আপনাদের অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ঠিক না। ভাস্কর্য বিতর্কে যাওয়া ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। ভাস্কর্য বিতর্কে না জড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আসেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় আসতে হলে তারেক রহমানকে নয় তার একমাত্র মেয়ে জায়মা জারনাজ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে। জায়মা আসলে যে আন্দোলনের জোয়ার শুরু হবে তাতে আওয়ামীলীগ সভাপতি তার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসেছে তা টের পাবেন।
তিনি বলেন, যদি বিএনপি সত্যি চায় হাসিনার ক্ষমতার পট পরিবর্তন হোক, তাহলে বিএনপির দায়িত্ব অনেক বেশি এখানে। তারেকের স্তুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না কোনদিন। আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে ক্ষমতায় আসতে চান, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চান, মাঠে বসতে হলে খোকনের মতো যারা আছেন, তারা আমার মতে জাইমাকে সঙ্গে নিয়ে নামতে পারেন। তারেককে নিয়ে নয়। আমি তারেককে কোনো দোষ দিচ্ছি না। স্ট্রাটেজি বলে একটা কথা আছে, আমরা বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার হবে না এবং বাংলাদেশের মাটিতে ফিরতে পারবেনা, একমাত্র গণতন্ত্রের বিজয় হলেই তারেক দেশে ফিরতে পারবে।
বিএনপির উচিত হবে খালেদা জিয়াকে প্রতিদিন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে, প্রতিদিন ১১টা থেকে ১২ রোদের মধ্যে বসতে হবে। যাতে জনগণ দেখতে পায় তাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে আটকে আন্দোলনকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে যদি জায়মা আসে তাহলে তাকে নিয়ে সারাদেশ ঘুরে বেড়াবে। তখনই দেখবেন জোয়ার কিভাবে উঠে, তখনই শেখ হাসিনা টের পাবেন তার যোগ্য প্রতিদ্ব›দ্বী এসেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ঘরের ভেতর যেসব কথা বলি কাজে তা প্রমাণ করি না। বিশেষ করে বিএনপি বেলায় একথা প্রযোজ্য। বিএনপিতে যেখানে খোকন, হাফিজ, আলালের মতো লোক আছে, এরা এতগুলো তরুণ আছে , খালেদা জিয়া কেন চুপচাপ গুলশানের মতো বাড়িতে আবদ্ধ থাকবে। জজ সাহেবরা একটা অন্যায় বিচার করেছেন , দুই কোটি টাকার জন্য সেই বিচার এখনো সমাপ্ত হয়নি। অন্তত পক্ষে জামিনটা তো অবশ্যই হওয়া উচিত।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য খোন্দকার আবিদুর রহমান, আসম মেজবাহ উদ্দিন, কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।