Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০৩ পিএম

রাজধানী ঢাকা আবার বায়ুদূষণে চরম অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় পৌঁছেছে। ঢাকা আবারও বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে। বাতাসের মান ২৮৪ নিয়ে ঢাকা আজ দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যদিকে বাতাসের মান ২৫০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। শনিবার বেলা ৪টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় আইকিউ এয়ারের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য দেখা যায়। এ সময় বাতাসের মান ২২৯ নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর তৃতীয় ও ১৮৭ নিয়ে চতুর্থ স্থানে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ভারতের মুম্বাই, ছয় নম্বরে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর। তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে কিরগিজস্তানের বিসকেক, ইউক্রেনের কিয়েভ রয়েছে আট নম্বরে ও বিশ্বের নয় নম্বর দূষিত শহর হলো কুয়েত সিটি। আর বিশ্বের ১০ নম্বর দূষিত শহর ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব।
রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণের পেছনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও ইটভাটার কয়লা পোড়ানোকে প্রধানত দায়ী করা হয়। রাস্তাঘাট সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন না করার কারণকেও রাজধানীর বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
বায়ুদূষণ নিরসনে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তা যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বায়ুদূষণ নিরসনে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত নির্দেশানমূলক রায় দেন। এরপর নানা সময় এ রায় কার্যকর নিয়ে তদারকিমূলক বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত যাদের কারণে রাজধানীতে বায়ুদূষণ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ঢাকার যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ চলছে সেসব এলাকা (কাজের স্থান) ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন ও সংস্কারকাজের কারণে ধুলাবালিপ্রবণ এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুইবার পানি ছিটাতে ঢাকার দুই সিটি মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। উন্নয়নকাজের এলাকায় প্রয়োজনে দুই বেলা পানি ছিটানোর কথা থাকলেও বিআরটি প্রকল্পের ১৩ কিলোমিটার এলাকার এলাকাবাসী জানান তারা কখনো পানি ছিটাতে দেখেননি। তবে রাজধানীর কোন কোন এলাকায় সিটি কর্পোরেশন পানি ছিটালেও তা খুব অপ্রতুল। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের অধীনে স্বতন্ত্র লেন তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজের কারণে সৃষ্ট ধুলাবালিতে ওই এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ। টঙ্গী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তারা কখনো পানি ছিটাতে দেখেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ