বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের সখিপুরের বহুরিয়া ইউনিয়নের ঠকানিয়াপাড়া থেকে বেলতলী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের ৮১০ মিটার পাকা করা হয়েছে। বাকি সড়ক কাঁচা রয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে এই সড়কটি পাকা করা হয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) ওয়েবসাইট ও মানচিত্রে (ম্যাপে) এ তথ্য দেওয়া রয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, কাগজে-কলমে ওই ৮১০ মিটার সড়ক পাকা থাকলেও বাস্তবে ওই সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। ওই সড়কে স্বাধীনতার পর থেকে একটি ইটও পড়েনি। বর্ষা মৌসুমে ওই অঞ্চলের মানুষ ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহায়। ওয়েবসাইটে এ তথ্য থাকায় নতুন করে ওই সড়কটি পাকা করার কোনো প্রকল্প নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ।
কালিদাস ঠকানিয়াপাড়ার বাসিন্দা বহুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তুহিন আহমেদ ওই সড়কটি পাকা করার তদবির করতে গিয়ে এ ধরনের ভুয়া তথ্য খুঁজে পান।
শুক্রবার সকালে কালিদাস ঠকানিয়াপাড়া-বেলতলী সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালিদাস বাজার থেকে ৫০০ মিটার সড়ক পাকা হয়েছে। পাকার পর ৫০০ মিটার কাঁচা সড়ক পেরোলেই ঠকানিয়াপাড়া এলাকা। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পার হলেই বেলতলী। ঠকানিয়াপাড়া থেকে আগে ও পরে কোথাও পাকা সড়কের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি। অথচ এলজিইডির ওয়েবসাইট ও মানচিত্রে ঠকানিয়াপাড়া থেকে বেলতলী পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের মধ্যে ৮১০ মিটার সড়ক পাকা দেখানো হয়েছে।তুহিন আহমেদ বলেন, ‘ওয়েবসাইটের ওই তথ্য থাকায় আমাদের সড়কটি পাকা করা যাচ্ছে না। ফলে ঠকানিয়াপাড়ার মানুষ শুধু ঠকেই যাচ্ছে। আমার মনে হয়, ওই সড়ক পাকা করার সব টাকা ঠিকাদার ও এলজিইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খেয়ে ফেলেছেন। ঠকানিয়াপাড়ার মানুষ তো আর ওই ওয়েবসাইট তৈরি করেনি। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।’উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ওই সড়কে একটি ইটও কখনো পড়েনি। বর্ষায় ওই কাঁচা সড়কে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অথচ কাগজে-কলমে ওই সড়কটি নাকি পাকা। এত বড় দুর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না।’ঠকানিয়াপাড়া থেকে বেলতলী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কই কাঁচা—এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী এস এম হাসান ইবনে মিজান বলেন, ‘ওয়েবসাইট ও ম্যাপের তথ্য হয় ভুল, না হয় দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০-১১ সালের তথ্য আমাদের কার্যালয়ে নেই।’তিনি আরও বলেন, সঠিক তথ্য উদ্ধার করতে হলে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে থাকা ফাইল বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, ওয়েবসাইটে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে, আর অনিয়ম হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।