পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে নভেম্বর মাসে মোট ৩৫৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এছাড়া ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে একজনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নব্বই শতাংশেরও বেশি আসামিকে ঘটনার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংরক্ষিত তথ্যমতে, ২০২০ সালের প্রথম ৮ মাসে মহানগরীর ৫০টি থানায় ৩১৪ নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে মামলা করেছেন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৪২ জন, ফেব্রæয়ারিতে ৪৫, মার্চে ৪৬, এপ্রিলে ১২, মে মাসে ১৫, জুনে ৪৯, জুলাইয়ে ৫২ এবং আগস্টে ৫৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। একই সময় ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে ৩৫৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। গত বছরের চেয়ে এই সংখ্যা কম হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসের ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন রাতে। পুলিশ এসব ঘটনায় জড়িত বেশিরভাগ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কেবল পুলিশি নিরাপত্তায় এই সমস্যার সমাধান হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে সমাধান খুঁজতে হবে। পুলিশ ঘটনার পরপরই অপরাধীকে গ্রেফতার করে।
রাজধানীর পাশাপাশি করোনা মহামারির এই সময়ে সারাদেশের ধর্ষণের চিত্র আরও ভয়াবহ। দেশে নভেম্বর মাসে মোট ৩৫৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয় ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে মোট ৩৫৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৯৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার এবং ৭ জন কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ৭ জন শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৫ জন। এর মধ্যে শিশু ৩ জন। ৬ জন শিশুসহ ৭ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশু এবং এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন, তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৭ জন। শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১১ জনের সাথে। পাচারের শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন কারণে ১২ জন শিশুসহ ৩৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ৯ জনের উপর, এদের মধ্যে ৪ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশুসহ মোট ১১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৫ জন শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ১৩ জন এবং ১২ জন শিশুসহ ৪৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার ১ জন শিশুসহ ৩ জন। এর আগে গত অক্টোবর মাসে মোট ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। এরমধ্যে ৪৪ জন গণধর্ষণসহ মোট ২১৬ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।