মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডের রাজার সামরিক কমান্ডের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। রবিবার রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হয়।
সেখান থেকে তারা থাইল্যান্ডের একাদশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের উদ্দেশ্যে আন্দোলনের প্রতীক হলুদ রাবারের হাঁস নিয়ে পদযাত্রা করে। ২০১৯ সালে থাই রাজা মহা ভাজিরালঙ্কর্ন যে দুইটি সামরিক ইউনিটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন একাদশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তার অন্যতম। আন্দোলনকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দশকের পর দশক ধরে থাই রাজারা সামরিক বাহিনীর ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তারা সামরিক কর্মকর্তাদেরকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা পারিত চিওয়ারাক সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সামরিক বাহিনী জনগণকে ধারণ করবে, রাজাকে নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজা সামরিক বাহিনীকে কমান্ড করার দায়িত্ব পালন করেন না। থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী রাজপরিবার বিশ্বের অন্যতম কঠোর মানহানী আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এই আইনে রাজা, রানি ও তাদের উত্তরাধিকার কিংবা প্রতিনিধিকে কোনও ধরনের মানহানি, অপমান ও হুমকি দিলে প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। আইনের আওতায় যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইনটি কালাকানুন হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। চলমান বিক্ষোভেও এই আইনটি বাতিলসহ বেশ কিছু সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রতিবাদকারীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি এরইমধ্যে রাজাকে সমালোচনা করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে পারিত চিওয়ারাক-ও রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় পরিত চিওয়ারাক নিশ্চিত করেছেন রাজদ্রোহিতা মামলায় তিনি সমন পেয়েছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, যারা ফৌজদারি দন্ডবিধির এই ধারার অপব্যবহার করতে চাইছে তাদেরকে বলছি, আমি ভীত নই। তিনি আরও লিখেছেন, ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন আর কোনও কিছুই আমাদের আটকাতে পারবে না। থাই পুলিশের একটি স‚ত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে রাজার আচরণ, জীবনযাপন ও ব্যয় নিয়ে মন্তব্যের জন্য সমন জারি করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে থাই সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সূত্রপাত হওয়া বিক্ষোভটি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বিক্ষোভকারী থাই রাজ ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার দাবি করে আসছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।