মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নকে জার্মানিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে লাখো মানুষ অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করছিলেন। কিন্তু ‘চেঞ্জ ডটওআরজি’ নামের এ সাইটটি বøক করে দিয়েছে থাই সরকার। থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, পিটিশনের বিষয়বস্তু থাইল্যান্ডের কম্পিউটার অপরাধ আইন লঙ্ঘন করেছে।
বছরের বেশির ভাগ সময়ই জার্মানিতে অবস্থান করায় বিক্ষোভকারীরা রাজা ভাজিরালংকর্নের সমালোচনায় মুখর হন। সঙ্গে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। ফলে বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে থাইল্যান্ডে। বিক্ষোভকারীরা সংবিধানের সংশোধন, নতুন নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার পদত্যাগ দাবি করছেন। বিক্ষোভকারীরা রাজার ক্ষমতা কমানোরও দাবি তুলেছেন, যে দেশে রাজতন্ত্রের সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাবাসের মতো শাস্তির বিধান রয়েছে। এ মুহ‚র্তে জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে থাই সরকার।
থাই, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় লেখা পিটিশনটির আয়োজক ফ্রান্সে অধ্যয়নরত এক থাই স্নাতক শিক্ষার্থী। পিটিশনে তিনি থাই রাজাকে জার্মানিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ও সেখানে তাকে আর বসবাসের সুযোগ না দেয়ার আবেদন জানান। থাইল্যান্ডে সাইটটি ব্লক করে দেয়ার আগেই এতে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেন। থাইল্যান্ডে ব্লক করা হলেও এখনো দেশটির বাইরে সাইটটিতে প্রবেশ ও স্বাক্ষর করা যাচ্ছে।
থাইল্যান্ড সরকার বলছে, ২০০৭ সালের কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্ট ও ১৯৩৫ সালের গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ভঙ্গ করার কারণে পিটিশন সাইটটি ব্লক করা হয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স¤প্রতি বলেছেন, তাদের দেশের অভ্যন্তরে থেকে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক বিষয়ে জড়ানো উচিত নয় রাজা ভাজিরালংকর্নের। বিরোধী দলের এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো অতিথি যদি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে বসে নিজ রাষ্ট্রের বিষয়াবলিতে জড়ান, তবে আমরা তাতে বাধা দেব।’
২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের রাজার সিংহাসনে বসেন ভাজিরালংকর্ন। যদিও এরপর বেশির ভাগ সময়ই তিনি কাটিয়েছেন জার্মানির ব্যাভারিয়ায়। বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডেই। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।