পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
চীন লাদাখে ঢুকে ভারতীয় ভূখন্ড দখলের পথে হাঁটলেও তাদের সাথে আলোচনা চলতে পারে। অথচ পাকিস্তানের সাথে কোনো কথোপকথনেই রাজি নয় কেন্দ্র। মুসলিম দেশ বলেই কি এই অনাগ্রহ? রোববার কেন্দ্রের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে ছিল জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর প্রথম ভোট মিটেছে নির্বিঘ্নেই। রোববার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মেহবুবা প্রশ্ন তোলেন ‘ওরা বলে, মুসলিমরা পাকিস্তানী, শিখরা খালিস্তানি আর সমাজবাদীরা আরবান নকশাল। তাহলে ভারতীয় কারা? কেবল বিজেপি?’ আক্রমণাত্মক মেজাজে তার আরো বক্তব্য, ‘সারা ভারতেই বিরোধীদের অবদমন করে রাখা হয়েছে। ইডির মতো প্রতিষ্ঠানগুলি ওদের টার্গেট করে রেখেছে। আমাদের প্রার্থী, সদস্যদের কোনো নিরাপত্তাই নেই।’ শুক্রবারই পিডিপি নেত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাকে বেআইনিভাবে আটক করেছে পুলিশ। সে প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন তিনি। তার কথায়, ‘আমাকে আটক করা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন যা বলেছে, তা শুনে আমি হতাশ। যেদিন থেকে আমরা জানিয়েছি জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচনে লড়ার কথা, তখন থেকেই আমাদের দলীয় সদস্যদের উপরে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে।’ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ৩৭০ ধারার বিলোপ নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে তার প্রশ্ন, ‘যদি ৩৭০ ধারার বিলোপই সমাধান হত, তাহলে কেন এখনও কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন রয়েছে?’ গত বছরের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সময়ই মেহবুবা মুফতি-সহ কাশ্মীরের প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এক বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দি থাকার পর মাসখানেক আগে মুক্তি পেয়েছেন পিডিপি নেত্রী। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।