বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য নগরীর নওয়াপাড়া নদীবন্দর দেশের প্রথম শ্রেণির অন্যতম নদীবন্দর। এ নদীবন্দর থেকে সরকার যেমন প্রতিবছর শতশত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকেন, তেমনি বন্দর আধুনিকায়নে ও নদীর নাব্য ধরে রাখতে বরাদ্দ দিচ্ছেন কোটি-কোটি টাকা।
কিন্তু স্থানীয় বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তার উদাসীনতায় ও নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সরকারের কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। সেই সাথে ব্যবসায়ীরাও পাচ্ছেন না প্রকৃত বন্দরের সব সুবিধা।
অপরদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন অভয়নগর-নওয়াপাড়া পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের হাজার হাজার শ্রমিক। হাতে গোনা দু-চারজন অসাধু ব্যবসায়ীকে বিশেষ কায়দায় সুবিধা দিতে গিয়ে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মকর্তা গোটা বন্দরের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে দিনদিন বন্দর তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। সেই সাথে ধূকে ধূকে মরতে বসেছে যশোরের শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ার প্রাণ ভৈরব নদ। ব্যবসায়ী, স্থানীয় সচেতনমহল ও হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেছেন, বিআইডাব্লিউটিএ’র উদাসীনতায় সরকারের লাখলাখ টাকা ব্যয়ে নওয়াপাড়া নদীবন্দরে নির্মিত জেটিগুলো ভেঙে চুরে বিলীন হয়ে পড়ছে। প্রকাশ্যে যে যার মতো খুলে নিয়ে যাচ্ছে পন্টুনের কাঠ ও পিলার। ইতোমধ্যে এ বন্দরে বিআইডাব্লিউটিএ’র অর্থায়নে নির্মিত নয়টি জেটির চারটি সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে কোন জেটি ছিল।
আর বাকি পাঁচটি জেটিও ভেঙ্গে চুরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খুলে পড়ছে পন্টুন। যে যার ইচ্ছে মত নিয়ে যাচ্ছে ভেঙে পড়া জেটির যন্ত্রাংশ। বর্তমানে এ পাঁচটি জেটি কেবল তাদের নিজেদের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।
আর এসব ভেঙে অকেজো হয়ে পড়া জেটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোড-আনলোডের কাজ করছে হাজার হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক। প্রায়ই দুর্ঘটনারও শিকার হচ্ছে তারা। যদিও এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নুন্যতম কোন মাথা ব্যাথা নেই। এমনকি বন্দরকর্তা এ পন্টুনগুলোর বেহাল অবস্থার কথা জানেনই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।