বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদীবন্দরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদীবন্দরে এখন সুনসান নিরবতা। গত সোমবার থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি। নেই যাত্রী ও শ্রমিকদের কোনো হাকডাক। করোনা লকডাউনে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি নদীবন্দর ও শতাধিক লঞ্চঘাটের পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ।
জানা যায়, গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেড় শতাধিক নৌযান বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী নদীবন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশনে নোঙরে রয়েছে। এছাড়াও এসব নৌবন্দরের আওতাধীন স্থানীয় রুটের আরো শতাধিক ৬৫ ফুট থেকে দেড়শ’ দৈর্ঘ্যরে নৌযান বিভিন্ন বন্দর ও স্টেশনগুলোতে অলস বসে আছে।
এসব নৌযানের প্রায় ৫ হাজার কর্মচারী এখন অলস বসে থাকলেও মাসের শেষে বেতন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। তবে ভালো কিছু নৌযান কোম্পানি গত বছর লকডাউনের সময়ও তাদের কর্মীদের বেতন প্রদান করলেও এ বছর কতটুকু সক্ষম তা বলতে পারছেন না কেউ। গত বছর রমজান ও ঈদ উল ফিতরসহ প্রায় আড়াই মাস নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নৌ পরিবহন খাতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার অগেই আরেকটি লকডাউন পরিস্থিতিকে আরো বড় ধরনের বির্পযয়ে ঠেলে দিল। এ ব্যাপারে দেশের বৃহত্তম নৌ পরিবহন ব্যবসায়ী সুন্দরবন নেভিশেনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, নৌপথে যাত্রী পরিবহন খাতে নতুন যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা সামাল দেয়া বেশিরভাগ নৌযান ব্যবসায়ীর পক্ষেই সম্ভব হবে না। গত বছর সরকার এখাতে প্রণোদনা দেয়নি। অথচ নৌযান কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে, এ বছরও দিতে হবে। এরসাথে সরকারের বিভিন্ন ধরনের কর ও ভ্যাট ছাড়াও ব্যাংকের সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। কিন্তু আয় নেই, ফলে কিভাবে বেতন দিবে নৌযান মালিকরা।
একই উদ্বেগর কথা জানিয়েছেন, সালমা শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌসও।
পাশাপাশি বেশিরভাগ নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীও বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের উদ্বেগ আর অনিশ্চতার কথাও জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।