Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাজিল তারকার গায়ে আর্জেন্টিনার জার্সি!

ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবলীয় দ্বৈরথ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। মানুষ ফুটবল ভালো করে বুঝুক বা না বুঝুক, দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশটা বেশ ভালোই অনুভব করতে পারে। একবার ভাবুন তো, আর্জেন্টিনার আগুয়েরো ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পরে বসে আছেন। কিংবা ব্রাজিলের কুতিনিওর গায়ে শোভা পাচ্ছে আর্জেন্টিনার জার্সি। এ-ও কি সম্ভব? হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যখন শত্রুতা, বৈরিতা, দ্ব›েদ্বর বিষয়গুলো প্রচন্ড রকমের খেলো বলে মনে হয়। মনে হয়, দিন শেষে সবাই-ই তো রক্ত-মাংসের মানুষ। মনে হয়, যা-ই করি না কেন, দিন শেষে সবাইকেই তো ওই এক অচিনের পানে ছুটতে হবে, তাই না? কী দরকার একটা চর্মগোলকের কারিকুরির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য নিজেদের মধ্যে দ‚রত্ব তৈরি করার? ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুটা যেন ঠিক অমন।

রেনাতো গাউচো। আশি-নব্বইয়ের দশকে ব্রাজিলের খেলা যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে বেশ পরিচিত নাম। রোমারিও-বেবেতোদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রমণভাগে খেলতেন। ১০ বছর ধরে চলা ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন ৪১ বার। স্বাভাবিকভাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথের উত্তাপও গায়ে মেখেছেন, অনুভব করেছেন। এখন নাম লিখিয়েছেন কোচিংয়ে। ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনে বেশ পরিচিত মুখ তিনি। এখন আছেন গ্রেমিওর দায়িত্বে। ম্যারাডোনার মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে তাঁকেও। এতটাই স্পর্শ করেছে যে দলের ম্যাচ পরিচালনার সময়ে পরে এসেছেন ম্যারাডোনা লেখা আর্জেন্টিনার জার্সি। ভাবা যায়!
গতপরশু কোপা লিবার্তোদোরেসের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় গ্রেমিও মুখোমুখি হয়েছিল প্যারাগুয়ের ক্লাব গুয়ারানির। ম্যাচের খেলা বাদ দিয়ে সবার চোখ চলে গেল ডাগআউটে। ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত আকাশি-সাদা ১০ নম্বর জার্সিটা গায়ে দিয়ে পায়চারি করছিলেন রেনাতো। দলকে একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ম্যাচ শেষে নিজের এই কান্ডের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান কোচ, ‘আমার কাছে ম্যারাডোনা অমর। ও আমাদের হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। শুধু ফুটবলই নয়, বিশ্ব আজ একজন প্রতিভাধর কিংবদন্তিকে হারাল। হারাল একজন পরম বন্ধুকে।’

ম্যারাডোনা ছিলেন রেনাতোর বেশ ভালো একজন বন্ধু। ১৯৮৮ সালে রোমার হয়ে এক বছর খেলেছিলেন রেনাতো। তত দিনে ইতালির আরেক ক্লাব নাপোলিতে নিজের রাজত্ব কায়েম করে ফেলেছেন ম্যারাডোনা। ভিনদেশে দুই লাতিনের বন্ধুত্ব হতে বেশি সময় লাগেনি। মৃত্যুর পর সেই বন্ধুকেই এভাবে সম্মান জানিয়েছেন রেনাতো, ‘ও অন্য গ্রহের একজন মানুষ ছিল। অন্য পৃথিবীর। ওর বন্ধু হতে পেরে আমি গর্বিত।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আর্জেন্টিনার-জার্সি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ