নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গোলা বারুদ, সলতে সবই জোগাড় করে রেখেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। লিওনেল স্কালোনির শুধু দরকার ছিল সলতেয় আগুন লাগানো। কিন্তু আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ সে পথে যাননি। জাতীয় দলে ডাক না পেয়ে রাগ ক্ষোভ উগরে দিয়ে ডি মারিয়া যুদ্ধের ডাকই দিয়েছিলেন। কিন্তু সাদা পতাকা উড়িয়েই সে ক্ষোভের জবাব দিয়েছেন স্কালোনি।
আগামী মাসে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এ জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে ডাক পাননি ডি মারিয়া। পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানোর পরও আগামী ৮ ও ১৩ অক্টোবরের ম্যাচ দুটিতে ডাক না পেয়ে মারিয়াক্ষুব্ধ। কেন ৩২ বছর বয়সী পিএসজি ফরোয়ার্ডকে ডাকা হয়নি সে প্রশ্নের উত্তর না দিলেও আর্জেন্টিনা দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন ধরে রাখতে বলেছেন স্কালোনি।
প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো বয়সের কারণে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না ডি মারিয়ার। আগামী বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন স্কালোনি। কিন্তু দলে যে ডি মারিয়ার চেয়েও বেশি বয়সী লিওনেল মেসি আছে, আছেন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দিও! তাই দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন ডি মারিয়া, ‘৩২ বছর বয়সেই আমি বুড়ো? ৩২ বছর বয়সেই যদি সবার বিকল্প খোঁজা শুরু হয় তাহলে সেটা সবার ক্ষেত্রেই করা হোক। মেসি, ওতামেন্দি—আরও যারা এই বয়সে শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রেও করা হোক। আমি দলে না থাকলে তাদেরও এ কারণে থাকা উচিত নয়।’
ফিটনেস ও খেলায় প্রভাব রাখার দিক থেকে নিজেকে নেইমার ও এমবাপ্পের সমকক্ষ ভাবেন ডি মারিয়া। তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে গত মৌসুমে একেবারে খারাপ খেলেননি ডি মারিয়া। কিন্তু দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে আর্জেন্টিনার কোচের মাথায় নিশ্চিত অন্য কিছু কাজ করছিল। এ ব্যাপারে তার কাছে প্রশ্ন করা হলে নিজের নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন দেখেননি স্কালোনি, ‘আমরা কারও জন্য দরজা (জাতীয় দলের) বন্ধ করিনি, একেবারেই না। বরং উল্টো, জাতীয় দল সবার জন্য। বর্তমানে আমরা এদের ডেকেছি, কিন্তু এর মানে এটা নয় যে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলাবে না।’
জাতীয় দলে ডাক না পেয়ে অনেক সময় ত্রিশের আশপাশে থাকা খেলোয়াড়দের রাগে ক্ষোভে অবসর নিতে দেখা যায়। মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য ডাক না পেয়েই যেভাবে ক্ষোভ দেখিয়েছেন ডি মারিয়া, তাতে তার ক্ষেত্রেও এমন কিছু দেখার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে স্কালোনি তার ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন। জানিয়েছেন, আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলতে, ‘যারা আগে খেলার সুযোগ পেয়েছে (কিন্তু এখন পাচ্ছে না), তাদের বলব প্রকল্পের ওপর আস্থা রাখতে এবং জার্সি না খুলতে।’ অর্থাৎ জাতীয় দল থেকে অবসর না নিতে আহবান স্কালোনির।
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলাটা যে গর্বের ব্যাপার সেটা ডি মারিয়াকে মনে করিয়ে দিয়েছেন স্কালোনি। সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, একবার দলে ডাক না পাওয়া মানেই সব শেষ এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই, ‘পেকেরমান (হোসে পেকেরমান, সাবেক আর্জেন্টিনা কোচ) ফুটবল বোঝার ও জাতীয় দলের সম্মান রক্ষার বিষয়টি আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সবাই এ বার্তাটা গ্রহণ করেছে এবং কেউ মন খারাপ করেনি। যারা খেলছে না তাদের পাশ থেকে সমর্থন দিতে হয় এবং তারা সেটা বুঝেছে। বর্তমান প্রজন্মও দেশের জন্য তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।