Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ বছর ১২ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি এয়ারলাইন্সগুলোর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বব্যাপী বিমান সংস্থাগুলো মহামারীজনিত কারণে ১১ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বছর শেষ করতে পারে। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। এর অর্থ এয়ারলাইনসগুলো চলতি বছর যাত্রীপ্রতি ৬৬ ডলার করে হারাবে।
এর আগে চলতি জুনে আইএটিএ অনুমান করেছিল, ২০২০ সালে ৮ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে বলে। তবে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ও বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকায় তারা তাদের ধারণা থেকেও ৪০ শতাংশ বেশি ক্ষতি হবে বলে অনুমান করছে। আগামী বছর ৩ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফল হয় কিনা তা নির্ভর করে ক্ষতির এ পরিমাণ সংশোধন করা হবে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ক্ষতি ১৫ হাজার ৭২০ কোটি ডলার অনুমান করা হয়েছে।
আইএটিএর ডিজি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেকজান্দ্রি ডি জুনিয়াক বলেছেন, ‘এই সংকটটি ধ্বংসাত্মক এবং নিরলস। এয়ারলাইন্সগুলো ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে এনেছে। তবে আয় ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফলাফলটি হলো, এয়ারলাইনস এই বছরে যাত্রী বহন করতে না পারায় মোট ১১ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার লোকসান দেবে। এই ক্ষতি ২০২১ সালে এই ক্ষতি ৮০ বিলিয়ন ডলারে হ্রাস পাবে। তবে পরের বছরও ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় শঙ্কা আরও বাড়ছে। আমাদের জন্য কোয়ারেন্টিন ছাড়াই সীমানাগুলো নিরাপদে খুলে দেয়া দরকার যাতে সবাই আবার বিমানে ভ্রমণ করতে পারে। বিমান সংস্থাগুলোর জন্য কমপক্ষে ২০২১ এর চতুর্থ প্রান্তিক অবধি নগদ ক্ষতির আশঙ্কা থাকায়, আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই।’
ভ্যাকসিন গবেষণা এগিয়ে যাওয়ায়, সংস্থাটি আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ আবার শুরু হবে বলে অনুমান করছে। তবে, ২০২০ সালেই টিকে থাকা এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য কঠিন হবে। আইএটিএ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিমান সংস্থাগুলো ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি (২০১৯ সালে আয় ৮৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে আয় ৩২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার) হওয়ার পরেও তারা ব্যয় কমাতে পেরেছে মাত্র ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (২০১৯ সালে ব্যয় ৭৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে ব্যয় ৪৩ হাজার কোটি ডলার) হ্রাস করেছে।
২০১৯ সালে বিমানগুলোতে যাত্রী সংখ্যা ছিলো ৪৫০ কোটি। ২০২০ সালে তা ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১৮০ কোটিতে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৩ সালের পরে এতো কম যাত্রী আর কখনো হয়নি। যাত্রীবহণ করে আয়ও কমে আসবে ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলারে। ২০১৯ সালে যেখানে আয় হয়েছিলো ৬১ হাজার ২০০ কোটি ডলার, তার তিন ভাগের একভাগেরও কম। তবে দেশীয় বাজারগুলোর মধ্যে চীন ও রাশিয়া ক্ষতি বহুলাংশে কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছে আইএটিএ। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে তাদের ৪৯ শতাংশ আয় কম হতে পারে যা, অনান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই ভালো। পাশপাশি, পণ্য পরিবহণও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পণ্য পরিবহণ থেকে যেখানে মোট আয়ের ১২ শতাংশ এনেছে, ২০২০ সালে সেখানে একই খাত থেকে মোট আয়ের ৩৬ শতাংশ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ