মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে কোভিড লকডাউন আবার ফিরছে! সংক্রমণের সিঁদুরে মেঘ দেখে ইউরোপ আগেই ফিরেছে। ঝুঁকি নেয়ার রাস্তায় হাঁটেনি। ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের একাধিক দেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে। আনলক পর্বের কয়েক ধাপে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে, ভারতকেও ফের কয়েক কদম পিছোতে হচ্ছে।
গোটা ভারতে যে পূর্ণ চেহারায় লকডাউন ফের ফিরছে, এমনটা নয়। তবে, দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, অহমদাবাদ, ইন্দৌরের মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর লকডাউনের পথই অনুসরণ করতে চলেছে। দোকানপাট, ব্যবসাপত্তর, রুটি-রুজি, যানবাহন বন্ধ করে, পুরোপুরি ধর্মঘটের চেহারায় লকডাউন নয়। তবে, কোভিড বিধি মেনে যা হতে চলেছে, তা লকডাউনেরই নামান্তর। এক-একটি শহর এক-এক রকমভাবে লকডাউন করবে। সেখানকার পরিস্থিতি পরখ করে।
সংক্রমণে কয়েক দিন ধরে নাজেহাল করে, ভারতে করোনায় অ্যাক্টিভ আক্রান্ত কমছে। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় টানা কিছুদিন ধরে সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অ্যাক্টিভ আক্রান্ত দেশের মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে সুস্থতার হার বেড়েছে। কিন্তু, করোনার বিরুদ্ধে এ সাফল্যে বাগড়া দিয়েছে কয়েকটি শহর। যার সবার আগে দিল্লি। গুরগাঁও, মুম্বাই, আহমদাবাদ, ইন্দোর ও জয়পুরও কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ।
গত জুন-জুলাইয়ের পর কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় নতুন করে এসব শহরে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, রাজধানীবাসী সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণে দিল্লি অনেক আগেই মহারাষ্ট্র, কেরালাকে পেছনে ফেলেছে। অক্টোবরের শেষ থেকেই রেকর্ড সংক্রমণ হচ্ছে। সেইসঙ্গে মৃত্যুহারও বেড়েছে। উল্লিখিত বাকি শহরগুলির অবস্থাও সঙ্গিন।
এক-একটি শহর এক-এক রকমভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। কোন শহরে কী ভাবে লকডাউন ফিরছে, এখানে তারই একঝলক।
দিল্লি : ১৬ দিনে দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত ১ লাখ, তবে সুস্থও ৯৪,০০০। ভালো কথায় সবসময় কাজ হয় না। আরও স্পষ্ট করে বললে, নিজের স্বার্থে আঘাত না-পড়া পর্যন্ত মানুষ গা করে না। তাই জরিমানার রাস্তায় হাঁটছে দিল্লি। মুখে মাস্ক না-পরলে ৫০০০ টাকা জরিমানা। অন্য কোভিড রুল ভাঙলেও দিতে হবে সমপরিমাণ টাকা। বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে ৫০ অতিথি পর্যন্ত ছাড়। তবে, উপার্জনের রাস্তা বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের নতুন করে চাপে ফেলতে চান না কেজরিওয়াল। তাই মার্কেট খোলা থাকবে। তবে, প্রচন্ড কড়াকড়ি থাকছে। লোকজনকে সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথায়, ‘সামগ্রিকভাবে যদিও লকডাউন হচ্ছে না, কিছু বিধিনিষেধ তো থাকছেই’।
গুরগাঁও : মাত্রই স্কুল খুলেছিল। তার মধ্যেই বিপত্তি। দিন কয়েক ক্লাস করতে না করতেই ১৭৪ শিক্ষার্থী পজিটিভ। নিস্তার নেই শিক্ষকদেরও। কোভিডে আক্রান্ত ১০৭ জন। তড়িঘড়ি রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে হরিয়ানা সরকার। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
মুম্বাই : বৃহন্মুম্বাই পুরসভার আওতায় মুম্বাইয়ে যেসব স্কুল রয়েছে, তার একটিও এ বছর আর খুলবে না। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। থানেও ঘোষণা করেছে চলতি বছর স্কুল খোলার আর অনুমতি দেয়া হবে না।
আহমদাবাদ : দুধ ও মেডিসিনের দোকানে ছাড় রয়েছে। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে আজ সোমবার থেকে স্কুল-কলেজ খুলছে না। রাজকোট, সুরাট, ভাদোধরায় শনিবার থেকে রাতে কারফিউ জারি রয়েছে।
ইন্দোর : গত শনিবার থেকে চালু নাইট কারফিউ। জরুরি পরিষেবা এর আওতাভুক্ত নয়। কারখানা শ্রমিকদের ছাড় রয়েছে। ইন্দোর ছাড়াও ভোপাল, গোয়ালিয়র, বিদিশা, রতলমে রাতে কারফিউ থাকছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানান, সামগ্রিকভাবে রাজ্যে লকডাউন হবে না।
জয়পুর : গত শনিবার থেকে রাজস্থানের সমস্ত জেলা ১৪৪ ধারার আওতায় আনা হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।