মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি আবারো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় ভারতের হিমাচল প্রদেশে থোরাং নামক একটি গ্রামের খোঁজ মিলেছে, যেখানে একজন বাদে গ্রামের সব বাসিন্দাই করোনা পজিটিভ! স্বাভাবিকভাবেই এমন খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়।
হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলার এই গ্রামের নাম থোরং। এই গ্রামে ১ জন ছাড়া বাকি ৪২ জনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যে ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হননি, তার পরিবারের অন্য ৬ সদস্য করোনা আক্রান্ত।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। আর সেখানেই একত্রিত হয়েছিলেন গোটা গ্রামের মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গোষ্ঠী সংক্রমণের কারণেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের মোট ৪২ জনের মধ্যে ৪১ জনই সংক্রমিত।
সৌভাগ্যবান ওই ব্যক্তির নাম ভূষণ ঠাকুর। তার বয়স ৫২ বছর। এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভূষণ করোনার প্রতিরোধে সমস্ত বিধি মেনে চলত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ভূষণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব শক্তিশালী। কারণ গ্রামের সমস্ত মানুষের করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসা খুব বিস্ময়কর।
জানা গেছে, ওই গ্রামে প্রথমে পাঁচজন করোনা পজিটিভ হন। এরপর বাকি লোকেরা নিজেরাই পরীক্ষা করান এবং তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও এই গ্রামে ১০০ এর বেশি লোক বাস করেন, কিন্তু বর্তমানে তুষারপাতের কারণে অনেকে অন্য এলাকায় চলে গিয়েছেন।
ভূষণ বলেন, তিনি প্রথম থেকেই নিয়মিত মাস্ক পরেন ও হাত স্যানিটাইজ করেন।
ইতিমধ্যেই ওই জেলায় পর্যটকদের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে থোরাং গ্রামে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে প্রশাসন। রোটাং টানেলের পর থেকে পুরো এলাকাটিই কনটেনমেন্ট জোনে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ আক্রান্তকেই হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।