Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ায় বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল বন্ধ করা হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৫২ পিএম

করোনা মহামারির দ্বিতীয় দফায় সৃষ্ট ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। নতুন নির্দেশনা জারির পাশপাশি বোস্টন, ডেট্রয়েট, ইন্ডিয়ানাপোলিস, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলো ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে এই জাতীয় সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে অনেক কারণেই দ্বন্দ্বের সুষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া কিংবা ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কার মতো বিষয়গুলো। কিন্তু সংক্রমণ ক্রমবর্ধমানহারে বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারগুলো বাধ্য হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে। আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস এবং চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে দেশটিতে ৯ লাখ শিশু ও কিশোর-কিশোরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এই সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে।

সংক্রমণ বাড়তে থাকার কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্কের সরকারি স্কুলগুলোকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজ্যটির সব স্কুল বন্ধ ও বাড়িতে বসে ভার্চুয়াল শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। আর এমন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ব্যাপকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আট মাস পর নিউইয়র্ক শহর মহামারীর অন্যতম কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হওয়ার পর সেখানকার হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে। আর রাস্তাঘাটে মানুষের তৎপরতা শূন্যে নেমে এসেছে। তবে জনস্বাস্থ্য সংকটের কেন্দ্রস্থল পরিবর্তন হয়ে আপার মিডওয়েস্টের দিকে চলে গেছে। মিনেসোটার সব রেস্তোরাঁ, বার, ব্যায়ামাগার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর টিম ওয়ালজ। আগামী চার সপ্তাহের জন্য সব ধরনের যুব ক্রীড়া অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।

অঞ্চলটিতে জনপ্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্তের হার পিছু ছাড়ছে না। রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় অর্ধেকটায় হাসপাতালের ৯০ শতাংশের বেশি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রোগীদের দখলে চলে গেছে।

নিউইয়র্কের স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সেখানকার মেয়র বিল ডি ব্লাসিও টুইটারে পোস্ট করার পর শিক্ষকদের জন্য তা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। স্কুল খোলা রাখলে অতিসংক্রামক করোনা মহামারীর ঝুঁকি নিয়ে তাদের অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু কর্মজীবী বাবা-মায়েদের জন্য এতে নতুন করে কষ্ট নিয়ে আসবে। অফিস খোলা থাকার জন্য ওই সময়ে তাদের জন্য বাচ্চাদেরকে সময় দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। ডেট্রয়েট বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, নগরীতে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে কারণে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্লাসে আর উপস্থিত থাকতে হকে না। তবে সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করা হচ্ছে না। কারণ, কিছু বাচ্চাদের জন্য, বিশেষত দরিদ্র বা অসচ্ছল পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে থাকা বাড়িতে থাকার চেয়েও বেশি নিরাপদ।

উল্লেখ্য, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩২২ জনে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ