মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার দাবি করেছে যে, তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর এবং এর মারাত্মক কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করার মুহূর্তে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সম্পূর্ণ ফলাফলের প্রথম গুচ্ছ এটি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যায়ে থাকা পরীক্ষায় থাকা করোনার টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেল ফাইজার। ফাইজার বলছে, তাদের এই টিকা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর।
অংশীদার বায়োএনটেকের সাথে এ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী ফাইজার বলেছে যে, তারা ‘কিছু দিনের মধ্যে’ জরুরি অনুমোদনের জন্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে। তারা আশা প্রকাশ করে যে, একটি কার্যকর ভ্যাকসিন শিগগিরই বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারে।
গবেষকরা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করার এক বছরেরও কম সময় পরে পরীক্ষার ফলাফল ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সব গতি-রেকর্ডকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। সাধারণত একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অ্যালবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘এ বিধ্বংসী মহামারির অবসান ঘটাতে সক্ষম একটি ভ্যাকসিন সামনে আনার জন্য ট্রায়ালের ফলাফল আট মাসের ঐতিহাসিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’।
ফাইজার বলেছে যে, এফ.ডি.এ. যদি একটি দ্বি-ডোজ ভ্যাকসিন অনুমোদন করে তাহলে তারা এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ৫ কোটি ডোজ এবং পরবর্তী বছরের শেষ নাগাদ ১৩০ কোটি ডোজ প্রস্তুত করতে পারবে।
তবে, এর সরবরাহের প্রায় অর্ধেক অংশ এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে যাবে, যা প্রায় সোয়া কোটি লোককে দেয়া যাবে। এ সংখ্যা ৩৩ কোটি আমেরিকান জনসংখ্যার একাংশ মাত্র। আমেরিকানরা এ ভ্যাকসিনটি নিখরচায় পাবেন ১৯৯ কোটি ডলার চুক্তির আওতায় ফেডারেল সরকার ১০ কোটি ডোজ ক্রয়ে ফাইজারের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে।
ফলাফল প্রাথমিক বিশ্লেষণের সাথে একত্রিত হয়েছে যা ফাইজার এবং বায়োএনটেক গত সপ্তাহে জানিয়েছিল যে, ভ্যাকসিনটি ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর ছিল। তারপরে সোমবার ওষুধ নির্মাতা মডার্না জানিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণে তাদের ভ্যাকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর পাওয়া গেছে।
ফাইজার এবং বায়োএনটেকের পরীক্ষায় প্রায় ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী জড়িত, যাদের অর্ধেক ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন। অপরদিকে অর্ধেক মিষ্টি পানির একটি প্লাসেবো শট পায়। গবেষকরা তখন অপেক্ষা করেছিলেন যে, প্রতিটি গ্রুপে কতটি কোভিড -১৯ বিকশিত হয়েছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।