Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে ঠান্ডজনিত রোগী : শীতের শুরুতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

শীতের শুরুতেই দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়েরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বাড়ছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে এ ধরনের রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও শিশু রোগীর সংখ্যা গত ১৫ দিনে কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগ ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারেও এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ১০-১৫ জন শিশু ঠাÐাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের তিনটি শিশু ওয়ার্ডে শতাধিকের বেশি শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এর মধ্যে প্রায় ১০টি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে চিকিৎসকরা বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। আক্রান্ত শিশুদের বয়স ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম.আর তালুকাদার মুজিব সাংবাদিকদের জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে একটু শীতের অবহাওয়া দেখা দেয়ায় শিশুদের মধ্যে জ্বর ও ঠাÐাজনিত রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হলে শিশুরা ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয়। জ্বরের সঙ্গে খাবারে অরুচি থাকে এবং পালসও বেড়ে যায়। এসব শিশুদের দ্রæত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে কোন সমস্যা হয় না বলেও জানান এ শিশু বিশেষজ্ঞ। করোনার মধ্যে শিশুদের ঠাÐা থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শেবাচিমের শিশু বহির্বিভাগের ডা. ফয়সাল জানান, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মধ্যে আসছে শীত। করোনাভাইরাস ছাড়াও শীতকালে শিশুরা বেশি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ঠাÐাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩০-৪০টি শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গ্রামাঞ্চলের অনেক বাবা-মা শিশুরা ঠাÐাজনিত শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করলে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে নিজেরা চিকিৎসা শুরু করেন। এতে শিশুরা আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগের মাত্রাও বেড়ে যায়।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক এম আর তালুকদার মুজিব বলেছেন, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে ঠাÐা-কাশি-জ্বর হতেই পারে। সামান্য সমস্যাতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। হালকা জ্বর, কাশি বা নাক থেকে পানি ঝরা সমস্যায় মধু-পানি, লেবু-পানি, আদা বা তুলসী পাতার রস দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি দুই বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াবার পরামর্শ দেন তিনি।
করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপাশি বাচ্চাদের ঠাÐা থেকে দূরে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসজনিত রোগ ব্রঙ্কাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে এসময়ে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। কাশির জন্য বাড়িতে সাধারণ চিকিৎসা দেয়া গেলেও শ্বাসকষ্ট উপশমে দ্রæত চিকিৎসকের স্মরণাপন্নের পরামর্শ দিয়েছেন। কোন অবস্থাতেই নিজেদের খুশিমত অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ানোর কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ