Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে তুরস্ক

দু’দেশের মধ্যে নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ার কাছ থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এ-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ হতে পারে বলে তুর্কি বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন। ডেইলি সাবাহ’র খবরে বলা হয়, তুরস্ক অনেক দিন ধরেই দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। কিন্তু ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তা কেনা হলে যুক্তরাষ্ট্র রাজি হবে না বলেই তা করা হয়নি। কিন্তু পরিবর্তিত বর্তমান অবস্থায় সে দিকে নতুন করে পা বাড়াতে চাইছে তুরস্ক। সম্প্রতি রাশিয়া সফরকালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছিলেন, তিনি ক্রেমলিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এ প্রেক্ষাপটেই এ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহে তুরস্কের আগ্রহ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে অল্পদিনের ব্যবধানে বিষয়টি নিয়ে মস্কো-আঙ্কারা প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। এর মাধ্যমে রাশিয়া-তুরস্ক নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এর আগে গত ৯ আগস্ট দু’দেশের দুই কর্তৃত্বপরায়ণ নেতা সেন্ট পিটার্সবার্গে এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের সময় দুজনের ছবি অঙ্কিত দুটি পোর্সিলিন ডিনার প্লেটও ছিল। দুজনের এমন সাক্ষাতের শুরুটা অবশ্য আরো আগে। জুন মাসে এরদোগান আনুষ্ঠানিকভাবে এক চিঠিতে পুতিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন নভেম্বরের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনার জন্য। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই এমন আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রত্যাশা করে আসছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেইন অ্যান্ড ডিফেন্স পলিসির ফিয়োদর লুকিয়ানভ বলেন, ওই অধ্যায় এবার শুরু হলো। ৯ আগস্ট পুতিন ও এরদোগানের বৈঠক থেকে দু’দেশের মধ্যে থমকে যাওয়া অর্থনৈতিক বন্ধন পুনরুদ্ধার ও সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই সম্পর্ককে আগের চাইতেও ভালো করে তোলার কথা বলেন। তুরস্কের প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন প্রকল্প ও রাশিয়ার নির্মিত তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক প্ল্যান্টের প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ট্যুর অপারেটররা বলছেন, চার্টার ফ্লাইট শুরু হবে শিগগিরই। রাশিয়ার অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রী আলেকসেই উলিউকায়েভ ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছরের শেষের দিকেই তুরস্কের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। অন্য রাজনীতিকরা আশঙ্কা করছেন, এরদোগান ও পুতিনের এই বৈঠক এটাই নির্দেশ করে যে, তুরস্ক পশ্চিমা বিশ্বের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই আশঙ্কার অন্যতম মূলে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায় স্বেচ্ছানির্বাসিত তুরস্কের মুসলিম নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে নিয়ে তুরস্ক ও আমেরিকার মধ্যকার দ্বন্দ্ব। গুলেনকে এরদোগান ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান চেষ্টার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছেন। আঙ্কারার দাবি, গুলেনকে তুরস্কে ফেরত পাঠাতে হবে। এখন পর্যন্ত আমেরিকা এমন দাবি মানবে না বলে আসছে। তাদের যুক্তি, কোনো রাজনৈতিক নেতা নয়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে আদালত। তুরস্কের সরকারপন্থি সংবাদপত্রগুলোতে এখন পূর্ণোদ্যমে ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় আমেরিকার সংশ্লিষ্টতাবিষয়ক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ছাপা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, হাফিংটন পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে তুরস্ক
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ