Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অডিট জালিয়াতি বন্ধ করা গেলে কর আদায় বাড়বে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

অডিট জালিয়াতি বন্ধ করা গেলে কর আদায় বহুলাংশে বাড়বে। শুধু তাই নয়, পুরো আর্থিক খাতে আসবে। তাই অডিটরদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এনবিআর ও দি ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) যৌথভাবে ডিভিএস সিস্টেম তৈরি করেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, হিসাববিদরা দেশের হিসাব পেশার কর্ণধার। দেশের উন্নয়নে তাদের ভ‚মিকা ব্যাপক। হিসাববিদের প্রতি পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিষ্টেম রাজস্ব আদায় বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অডিট জালিয়াতি রোধেও সহায়তা করবে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ডিভিএস আর্থিক খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এতে জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত হবে। রাজস্ব আদায়ে ডিভিএস সিস্টেম ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে। যদি রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে কর্পোরেট কর কমানোর চিন্তা-ভাবনা করা হবে। তিনি বলেন, আরজেএসসিতে নিবন্ধিত কোম্পানীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে ৭৮ হাজার কোম্পানি টিআইএন রয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি কোম্পানী আয়কর রিটার্ন দাখিল করে না। কিছু কোম্পানী নাম মাত্র অডিট করে, অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া অডিট করে পার পাচ্ছে। স্বাগত বক্তব্যে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফারুক বলেন, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আরজেএসসি, বিএসইসি, আরডিআরএ ডিভিএস সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টের সঠিকতা যাচাই করতে পারবে। এতে রাজস্ব আদায় অনেকাংশে বাড়বে ও কর ফাকির প্রবণতা কমে আসবে। যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, আইসিএবির নিবন্ধিত হিসাববিদরা প্রতিটি নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদনসহ যাবতীয় তথ্য ডিভিএস সফটওয়্যারে আপলোড করবে। এনবিআর এই সিস্টেম থেকে রিটার্নের সঙ্গে জমা দেয়া নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন সঠিক কি না, তা যাচাই করতে পারবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টে ও তথ্য আইসিএবির ডাটাবেজে পাওয়া যাবে না এখন থেকে সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ধরা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অডিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ