পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষায় নিয়োজিত অডিট ফার্মের তালিকায় অযোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে ৩৬ ফার্মকে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অযোগ্য বিবেচনা করে অডিট ফার্মের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
অডিট ফার্মগুলো হলো- এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোং, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, শফিক বসাক অ্যান্ড কোং, আহমদ অ্যান্ড আখতার, আহমেদ মাসুক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং, পিনাকী অ্যান্ড কোং, আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং, মালেক সিদ্দিকী ওয়ালী, সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং, এ মতিন অ্যান্ড কোং, কে এম আলম অ্যান্ড কোং, আর্টিসান, এ হক অ্যান্ড কোং, ফেমস অ্যান্ড আর হুদা হোসাইন অ্যান্ড কোং, রহমান আনিছ অ্যান্ড কোং, এ বি সাহা অ্যান্ড কোং, ইসলাম জাহিদ অ্যান্ড কোং, মিজান ইসলাম অ্যান্ড কোং, খান আইয়ুব, শফিক মিজান রহমান অগাস্টিন, হাবিব সরোয়ার ভ‚ঁইয়া অ্যান্ড কোং, রহমান কাসেম অ্যান্ড কোং, জে আর চৌধুরী অ্যান্ড কোং, মোহাম্মাদ আতা করিম অ্যান্ড কোং, আখতার আমির অ্যান্ড কোং, নূরুল আজিম অ্যান্ড কোং, দেওয়ান নজরুল ইসলাম অ্যান্ড কোং, আহসান জাকির অ্যান্ড কোং, আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোং, তখতিয়ার হুমায়ন অ্যান্ড কোং, আশরাফ উল হক নবী অ্যান্ড কোং এবং রহমান মুস্তাফিজ হক অ্যান্ড কোং।
অনিয়মে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এবার কিছু প্রতিষ্ঠান নতুন তালিকায় স্থান পায়নি। এর মধ্যে ক্রিসেন্টের ভুয়া রফতানি বিলের বিপরীতে নগদ সহায়তা ছাড়ে অনাপত্তি দেয়ায় প্রথমবারের মতো দুটি অডিট ফার্মকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হলো- সাইফুল শামসুল আলম অ্যান্ড কোং এবং আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, নানা অসঙ্গতি থাকার পরও অনেক অডিট ফার্ম ব্যাংকের প্রস্তুত করা আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর কোনো আপত্তি তোলে না। আবার ভুয়া রফতানি বিলের বিপরীতে নগদ সহায়তা ছাড়ের জন্য অনাপত্তির ঘটনা রয়েছে। এসব বিবেচনায় এবারের তালিকা করা হয়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের তালিকায় যুক্ত করা হয়নি। উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইনের আলোকে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর তা বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাচাই করাতে হয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৯(১) ধারার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে থাকে। তালিকাভুক্ত অডিট ফার্ম ব্যাংকের বার্ষিক হিসাব বিবরণী নিরীক্ষার পাশাপাশি নগদ সহায়তা ছাড়ের অনাপত্তি দিয়ে থাকে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবধরনের নিয়ম পরিপালন করে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে কি না বা নগদ সহায়তা ছাড় করছে কি না- তা দেখার দায়িত্ব এসব অডিট ফার্মের। এ জন্য এসব ফার্ম একটি ফি পেয়ে থাকে। কোনো অডিট ফার্ম ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আলোকে দুই বছর নিষিদ্ধ করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণভাবে প্রতি দুই বছর অন্তর যোগ্য অডিট ফার্মের নাম প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের মার্চে যোগ্য ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।