মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রধানমন্ত্রী নিকোল পশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আর্মেনিয়ার হাজার হাজার মানুষ। বিরোধপূণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘাত নিরসনে প্রতিবেশি আজারবাইজানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের সকলের একটাই স্লোগান, 'নিকোল বিশ্বাসঘাতক'। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ এই চুক্তির মাধ্যমে আজারবাইজানের আঞ্চলিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হোদা আবদেল হামিদ জানিয়েছেন, অধিকাংশ জায়গাতেই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কয়েকটি স্থানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেখান থেকে কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দেশের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের অধিকার নিকোল প্যাসিনিয়ানের নেই। এটি গণতন্ত্র নয়। তিনি আমাদের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন।
দেশটির বিরোধী দলের এক নেতা বলেন, এই জাতীয় নেতাকে (নিকোল প্যাসিনিয়ান) জাতীয় সুরক্ষা দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
এদিকে, বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা করতে সংসদে প্রবেশ করেছেন। তবে সংসদে সংখ্যালঘু হওয়ায় তাদের এই উদ্যোগে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেয়ার পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল প্যাসিনিয়ান ফেসবুক পোস্টে জানান, তার সরকার যুদ্ধ বন্ধের জন্য আজারবাইজান ও রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। চুক্তিটি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমাদের জনগণের জন্য অবর্ণনীয় বেদনাদায়ক। আমি সামরিক পরিস্থিতি গভীরভাবে বিশ্লেষণ এবং পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো জানেন এমন লোকদের মূল্যায়নের ফলস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া চলমান পরিস্থিতির সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান এটিই।
নতুন শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক যুদ্ধে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখের যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেগুলো তাদেরই থাকবে। সেইসঙ্গে আর্মেনিয়াকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংলগ্ন আরো কিছু এলাকা থেকে সরে যেতে হবে। আর অত্র অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে অন্তত ২ হাজার রুশ সেনা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে তুরস্কও পর্যবেক্ষণে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। খবর আল জাজিরার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।