Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমপি পাপুল স্ত্রী সেলিনা ও কন্যা ওয়াফার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

মানবপাচার ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগে কুয়েতের আদালতে বিচারাধীন লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশন এই মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করবেন।
দুদক বলছে, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকার ‘অবৈধ লেনদেন ও পাচারের তথ্য’ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। এজন্য মামলাটি দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠার পর গত ২২ জুলাই তার স্ত্রীর সেলিনা ও শ্যালিকা জেসমিনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এর আগে গত ২২ জুন ওই চারজনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাশাপাশি পাপুল দেশে ফিরলে আর যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক।

লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।

কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন পাপুল। যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।
সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে অর্থ ও মানব পাচারের মাধ্যমে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলা পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল।

রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিচিত শহিদ ইসলাম পাপুল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন। তার কারণে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: নোমান প্রার্থিতা তুলে নিতে বাধ্য হন। নির্বাচনের পর আরেক চমক ছিল পাপুলের স্ত্রীর সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এমপি পাপুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ