মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (লক্ষ্মীপুর-২) শহীদুল ইসলাম পাপুলকে ২১ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্যকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের সংবাদপত্র ‘আরব টাইমস’। এর আগে তিন দফায় পাপুলের জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তা বাতিল করে দেন।
কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেল পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকেও আটক করা হয়েছে। আরব টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়, এরমধ্যে একজন বাদে বাকিদেওও জেলে পাঠানো হয়েছে। শুধুমাত্র এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার কুয়েতি দিনারের জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে এমপি কাজী শহীদ পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। তিন দফায় রিমান্ডে নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে এমপি পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা লাভ করতেন। এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ জব্দ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। বিদেশের মাটিতে একজন সংসদ সদস্যের আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, অপরাধী হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে পাপুলকে মানবপাচার ও অর্থপাচার কান্ডে সহায়তার অভিযোগ ওঠায় কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।