পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে মানবপাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে কুয়েতে মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আমলাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। গত বুধবার কুয়েতের গণমাধ্যম অ্যারাব টাইমস এ সংবাদ প্রকাশ করে। এদিকে এমপি শহিদ পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও কন্যার আয়করা নথি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
অবৈধভাবে কুয়েতে শ্রমিক নেয়ার জন্যে এমপি শহীদ কুয়েতের ক্ষমতাধর দুই নাগরিককে কী পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন তা বিস্তারিত জানিয়ে কাজী পাপুল রিমান্ডে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়। এতে আরও বলা হয় কুয়েতের ক্ষমতাসীন দুই নাগরিকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এমপি শহীদ যে প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন সেখান থেকে মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণের অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সে জন্য ইতোমধ্যে তাদের ৯০ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দৈনিক আরব টাইমস, আরবি দৈনিক আল কাবাস, কুয়েতি টাইমসের প্রতিবেদনে কুয়েত পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়, কাজী পাপুলের সঙ্গে মানবপাচার চক্রটি বৈধ-অবৈধ ভাবে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে কুয়েতে নিয়েছে। এমপি পাপুল তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। এভাবে তিনি পাঁচ কোটি কুয়েতি দিনার পকেটে পোরেন। তদন্ত আরো চলবে। এ অবস্থায় এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের জামিন এবং মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ওই মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি আদালতকে বলেন, এমপি শহীদ সে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখান থেকে টাকা অপর এক সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশি এমপির (কাজী শহিদ) সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকায় সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল একটি কোম্পানি গঠন করার জন্যে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেননি বলেও আদালতকে জানান। এর আগে গত ৬ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে মানবপাচার, অর্থপাচারসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার করা হয়। দুই দফায় রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে পাপুলের কাছে লাখ লাখ টাকা দিয়ে কুয়েত গিয়ে প্রতারিত হওয়া ১১ বাংলাদেশী শ্রমিক কুয়েত আদালত ও সে দেশের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
দেশটির আইন অনুযায়ী আদালতে অর্থপাচার প্রমাণিত হলে কাজী পাপুলের ৭ বছরের সাজা হবে। সেই সাথে মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে ১৫ বছর। আর আদালতে সেক্সুয়াল মানবপাচার প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে।
এদিকে গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল, তার পরিবার ও শ্যালিকার আয়করের নথিপত্র চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন এনবিআরের কাছে সংশ্লিষ্টদের আয়করের নথিপত্র চেয়েছেন।
সেই সাথে এমপি শহিদ ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের নির্বাচনী হলফনামা পেতে নির্বাচন কমিশনে তাগিদপত্র দিয়েছে দুদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।