বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একজোড়া জুতা পথ দেখিয়ে দিল খুনির। একটি মোবাইল ফোন সেটের জন্য বন্ধুকে খুন করে আত্মগোপন করলেও তার ব্যবহৃত একজোড়া জুতা পুলিশকে পৌঁছে দিল খুনির দরজায়। আর পৌঁছানোর কাজে প্রযুক্তিও ছিল সহায়ক।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের এলাকার প্রহলাদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে দর্জি পেশায় নিয়োজিত বিকাশ চন্দ্র বর্মণ (১৬) এর খুনি বন্ধু সাকিবকে ঘটনার দশদিন পর গ্রেফতার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। সাকিব একই উপজেলার করিমপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুনের মোটিভ উদঘাটন ও খুনিকে আটকের বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আজিম উল আহসান। দুপুরেই বিকাশের খুনি সাকিবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৩০ অক্টোবর কুমিল্লার মুরাদনগর সদর এলাকার প্রহলাদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বর্মণ ল²ীপূজা দেখতে ঘর থেকে বের হয়। পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। বাড়ির অদূরে একটি ছয়তলা দালানের পাশে বিকাশ ও তার সঙ্গী উত্তম বর্মণ অজয় চন্দ্র সরকার ও সাকিব আশ্রয় নেয়। এ সময় বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় বিকাশকে রেখেই উত্তম বর্মণ ও অজয় চন্দ্র সরকার বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি চলে যায়। তার একটু পরে বিকাশ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। এসময় সাকিব বিকাশের পথরোধ করে এবং বিকাশের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে শাকিব তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে বিকাশকে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিকাশ দৌড়ে বাড়ির কাছে চলে যায়। এ সময় সাকিবও বিকাশকে ধরে ফেলে।
আবারও ছুরিকাঘাত করে তাকে। এ সময় নিস্তেজ হয়ে পাশের একটি পুকুরে পরে যায় বিকাশ। এরপর সাকিব ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বিকাশকে। পরে বিকাশের মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায় সাকিব। এ সময় সাকিবের তার ব্যবহৃত জুতাজোড়া ঘটনাস্থলে রেখেই চলে যায়।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর অজ্ঞাত আসামি করে মুরাদনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিকাশের পিতা প্রহলাদ চন্দ্র বর্মণ। মামলার তদন্তভার পড়ে মুরাদনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদের ওপর। লাশের সাথে উদ্ধার হওয়া জুতাজোড়ার মালিককের সন্ধানে নামে পুলিশের টিম।
প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া জুতাজোড়া ও মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত চলতে থাকে। পরে প্রযুক্তির সহয়তায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে সাকিবকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে সাকিব স্বীকারোক্তি দেয়, লাশের পাশে উদ্ধার হওয়া জুতা তার। মোবাইল ফোনের জন্য বিকাশকে খুন করে সে। এ সময় খুনের কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।