বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খাদ্য মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে খাদ্যের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে দেশের জনগণ তাদের আয়ের বেশিরভাগ খাদ্যের জন্য ব্যয় করে। রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো সকল সময়ে সবার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব সকল নাগরিকের খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা। সরকারের কার্যবিধি অনুযায়ী, জাতির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত। ১৯৯৬ সালের বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞা অনুযায়ী, সকল সময়ে সকল নাগরিকের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবন যাপনে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা নিশ্চিতকল্পে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় এর প্রতিফলনও ঘটেছে।
বাংলাদেশ উরুগুয়ে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ, যেখানে অন্যান্য বিষয়ের সাথে কৃষি বাণিজ্য উদারীকরণ নীতিও গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সভার পরামর্শ মতে, ২০০০ সালে ‘বাংলাদেশের জন্য একটি সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নীতি’ শিরোনামে টাস্কফোর্স প্রতিবেদন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমকে বর্ধিত আঙ্গিকে সুসংহত করার কাজ শুরু হয়। সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সরকারের প্রচেষ্টাকে উচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ইতোমধ্যে আরও সঙ্গতিপূর্ণ ও সুসংহত করা হয়েছে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতি ও কৌশলসমূহ পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে তা স¤পন্ন করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে গৃহীত দেশের প্রথম খাদ্যনীতির লক্ষ্য ছিল খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংস¤পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিধান। কেবলমাত্র খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করে প্রণীত খাদ্যনীতি, ১৯৮৮-তে খাদ্যশস্যের লভ্যতা ব্যতিরেকে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে অপূর্ণতা থেকে যায়। সম্প্রতি গৃহীত দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্রের আলোকে এবং বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত খাদ্য নিরাপত্তার সংজ্ঞা অনুযায়ী বর্ধিত আঙ্গিকে নতুন খাদ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিগত দশকে বাংলাদেশে খাদ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যেখানে চাল ও গমের বাজারে অধিকমাত্রায় সরকারি হস্তক্ষেপ কমিয়ে বাজারমুখী করা হয়েছে। একই সাথে সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাকে সুসংহত করে দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারসমূহের জন্য অধিকতর লক্ষ্যমুখী করা হয়েছে। অধিকন্তু, খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যশস্যের লভ্যতা সন্তোষজনকভাবে বজায় থাকায় এবং পুষ্টিশিক্ষাসহ শিশু ও নারীর পুষ্টি উন্নয়নমুখী প্রচেষ্টাসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে সরকারের খাদ্যনীতির ব্যাপ্তি ক্রমশ প্রসার লাভ করেছে। বাংলাদেশের জীবনধারণোপযোগী গ্রামীণ অর্থনীতিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি মৌলিক খাদ্যের উৎপাদন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং চাষযোগ্য জমি হ্রাসের উপর সরাসরি নির্ভরশীল। দেশে বিদ্যমান দারিদ্রাবস্থায় উপরিউক্ত নিয়ামকসমুহ জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিধানকে জটিল করে তুলেছে।
সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ও খাদ্য লভ্যতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন সত্তে¡ও ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিধান সরকারের জন্য একটি গুরুত্ববহ বিষয় হয়ে থাকছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য উৎপাদনে তাৎপর্যপুর্ণ সফলতা অর্জন করেছে, যা বহুলাংশে জাতীয় পর্যায়ে অপ্রতুল খাদ্য লভ্যতার সমস্যা দূরীকরণে সহায়ক হয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্যের লভ্যতা নিশ্চিতকরণের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য হলেও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারসমুহের জন্য খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা ও সংগৃহীত খাদ্যের যথাযথ ব্যবহারে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার সকল দিক, যথা- (১) অভ্যন্তরীণ কৃষি ব্যবস্থার অধিকতর দক্ষতা আনয়নসহ খাদ্যের বর্ধিত লভ্যতা, (২) খাদ্য নিরাপত্তাহীন জনগোষ্ঠীর জন্য বর্ধিত খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা, (৩) খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দরিদ্র ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর টেকসইভাবে আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা, (৪) সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ এবং (৫) ভোগকৃত খাদ্যের যথাযথ ব্যবহার ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টিহীনতা নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে খাদ্য মন্ত্রণালয় নিজস্ব দায়িত্বাধীন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সহায়ক সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী মন্ত্রণালয় ও সংস্থা কর্তৃক খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিমূলক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাতে সকল প্রকারের সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করবে। এভাবে সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিমুলক কর্মসুচিসম‚হ সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্বিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন সম্ভব হবে।
সকল সময়ে সকল জনগণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত খাদ্যনীতির উদ্দেশ্যসমূহ হলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যাপ্ত নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা/সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং সকলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি বিধান করা। খাদ্যনীতির ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে সকল সময়ে সকল জনগণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশে বিদ্যমান খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খাদ্যনীতি একটি বহুমাত্রিক বিষয়, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা খাদ্য নিরাপত্তা সংশিষ্ট স্ব স্ব কর্মসূচি ও কৌশলসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ লক্ষ্য হিসেবে একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তার সংজ্ঞানুযায়ী, তখনই খাদ্য নিরাপত্তা বিরাজমান যখন সকলের জন্য একটি কর্মক্ষম, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী জীবনযাপনের জন্য সকল সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম একটি উপাদান হলো জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের লভ্যতা, যা প্রায়শই জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অপর অপরিহার্য উপাদান হলো ব্যক্তি ও পরিবার পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা। খাদ্য নিরাপত্তার তৃতীয় অপরিহার্য উপাদান হল খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার, যা অন্যান্য নিয়ামকসমূহ যথা সুস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের উপস্থিতি এবং পরিবার বা সরকার কর্তৃক সমাজের দুস্থ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের সামর্থ্যরে উপর নির্ভরশীল। সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের বিষয়টি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল যেখানে যুগপৎভাবে প্রত্যেকটি নিয়ামকই যথেষ্ট গুরুত্ব পাওয়া আবশ্যক। এসকল নিয়ামকের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পারস্পরিক নির্ভরতা বিদ্যমান থাকায় খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত সকল বিষয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যের লভ্যতা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, সরকারি ও বেসরকারি মজুদ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণের দ্বারা নির্ধারিত হয়। বাণিজ্য উদারীকরণের সাথে সাথে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের সরবরাহ মূল্য পরিস্থিতির গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। পরিবারের নিজস্ব উৎপাদন/সংগ্রহের ক্ষমতা, পরিবারের খাদ্য মজুদের পরিমাণ এবং স্থানীয় বাজারে খাদ্যের লভ্যতার উপর পরিবার পর্যায়ে খাদ্যেও লভ্যতা নির্ভর করে। তবে উপরোল্লিখিত বিষয়াদি বাজার কার্যক্রম অবকাঠামো, অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মৌসুমী ভিন্নতা, বাজার দক্ষতা ও সরকারী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার কার্যকারিতার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
পারিবারিক খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা আয়, সম্পদ, বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ প্রাপ্তি, উপহার, ঋণ, আয় হস্তান্তর এবং খাদ্য সাহায্য প্রাপ্তির উপর নির্ভর করে। পারিবারিক আয় ও খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবার পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা সম্ভব। অধিকন্তু, বর্ধিত সম্পদভিত্তি পারিবারিক আয়ের সাময়িক ব্যাঘাতের ঝুঁকি হ্রাসসহ প্রতিঊল সময়ে পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা হ্রাসের মাত্রা ঠেকানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বাজারে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রকৃত আয় কমে গিয়ে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় নিম্ন-আয়ের পরিবারসমুহ সাময়িক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পতিত হয়। খাদ্যের লভ্যতা এবং খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা/সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুধা নিবারণ করা সম্ভব হলেও তাতে অপুষ্টি নিরসন সম্ভব নাও হতে পারে।
দীর্ঘকালীন অপুষ্টির কারণ মূলত খাদ্য ভোগ ও অসুস্থতার মধ্যে নিহিত থাকে, যা জৈবিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যাঘাত ঘটায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তির ক্ষমতা নিশ্চিতকরণ অপরিহার্য। খাদ্য-বহিভূর্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অপ্রতুলতা ও অকার্যকর সরবরাহ ব্যবস্থা এবং তার দক্ষ পরিচালনার অভাবে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিতদের উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে ইতোমধ্যে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহের কার্যকারিতাকে অর্থহীন করে তুলতে পারে। অসহায় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশসম্মত সুবিধাদি স্থানীয় পর্যায়ে সহজলভ্য করে তা পরিবারের শিশু, নারী ও দুস্থ সদস্যদের নিকট পৌঁছানোর সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। অন্তঃপরিবার পর্যায়ে যথাযথ পরিচর্যায় অভ্যাস গড়নসহ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে লিঙ্গভেদ বা অন্য কোন পক্ষপাতিত্ব না করে জৈবিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে খাদ্যভোগ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য লভ্যতা অপরিহার্য হলেও পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও খাদ্যের যথাযথ জৈবিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে পুষ্টি বিধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ কৃষিতে দক্ষতা অর্জনসহ শস্য ও অশস্য খাদ্যের লভ্যতা বৃদ্ধি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় টেকসইভাবে বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা অর্জন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার মাধ্যমে অপুষ্টির শিকার ব্যক্তির খাদ্যের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহতকরণ সম্ভব।
লেখক: গবেষক, সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।