মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সময়ের সাথে ক্রমশই ফিকে হচ্ছে তার আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনের এগিয়ে যাওয়া দেখে দৃশ্যত হতাশ হয়ে গতকাল সাংবাদ সম্মেলন করে ভোট গণনায় ফের কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। ডেমোক্র্যাটরা জয় চুরি করে নিচ্ছে বলেও দাবি তার। কিন্তু, নিজের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ বা যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কেউ বৈধ ভোট গোনে, তাহলে আমি সহজেই জিতেছি। যদি অবৈধ ভোট গোনা হয়, তাহলে ওরা আমাদের থেকে নির্বাচন চুরি করে নিতে পারে। আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জিতেছি। বড় জয় পেয়েছি ফ্লোরিডা, আইওয়া, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও সহ বিভিন্ন রাজ্যে। টাকা ও তথ্যপ্রযুক্তির হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে আমরা জিতেছি।’ নিজেকে আন্ডারডগ হিসেবে তুলে ধরার জন্য ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটদের কাছে অনেক টাকা আছে, অনেক চাঁদা দেয়ার লোক আছে, বড় বড় টেক সংস্থাদের সমর্থন আছে। কিন্তু তার দল রিপাবলিকান পার্টি সাধারণ মার্কিন কর্মীদের দিয়ে গড়া বলে দাবি করেন ট্রাম্প। যেভাবে সমীক্ষকরা তাকে ভোট পূর্ববর্তী হিসেবে অনেক পিছনে দেখিয়েছিলেন সেটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার উদাহরণ বলে তিনি জানান।
ট্রাম্প বলেন যে, তারা গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্যে এগিয়েছিলেন তারপর তাদের সংখ্যা কমতে থাকে হঠাৎ করে। তাদের অবজারভারদের বুথে গণনা দেখতে দেয়া হচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আনফেয়ার বলে বর্ণনা করে ট্রাম্প মেইল-ইন- ব্যালট অর্থাৎ পোস্টাল ব্যালট সম্পর্কে নিজের আপত্তি জানান। তিনি বলেন, কোনও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ছাড়াই লাখ লাখ ব্যালট ডাকের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে ও পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ভরপুর। বিভিন্ন রাজ্য যেখানে ডেমোক্র্যাট গভর্নর আছে সেখানে সঠিক ভাবে গণনা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার মতে কে জিতল সেটি বড় কথা নয়, কিন্তু প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত বিচারকরাই চ‚ড়ান্ত রায় দেবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে. বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় মধ্য রাতে ট্রাম্প পরপর কয়েকটি টুইট করেন, যার দুটি টুইটার তাদের নীতিমালার কারণে মুছে দিয়েছে। প্রথম টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ভোট গণনা বন্ধ করুন। এরপর আরেক টুইটেও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে লেখেন তিনি লেখেন, এই জালিয়াতি বন্ধ করুন। তারপর আরেকটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমরাই জিতব, সবার আগে আমেরিকা।’ প্রথমটি রাখলেও টুইটার তার পরের দুটি টুইট মুছে দিয়েছে।
দীর্ঘ সময়েও ফল না আসায় কয়েকটি রাজ্যে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবরও পাওয়া গেছে। বাইডেন সমর্থকরা প্রতিটি ভোট গণনার দাবি জানিয়ে যেমন রাজপথে নামছেন, তেমনি ট্রাম্প সমর্থকরাও শামিল হয়েছেন ‘অবৈধ’ ভোট গণনা বন্ধ রাখার দাবিতে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।