Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ‘প্রিপেইড’ অনুশীলন গ্রাউন্ড!

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম


অপরিকল্পিত নগরায়নে সিলেটে ক্রমশ: বিলুপ্ত হচ্ছে খেলার মাঠ। পাড়া মহল্লায় শুধু মাঠ ছাড়া গড়ে উঠছে স্কুল কলেজও। পূর্বেকার নির্ধারিত স্টেডিয়ামগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বা সময়োপযোগী ব্যবস্থাপনাহীন। সবার জন্য উম্মুক্ত নয় খেলার মাঠগুলোও। সেখানে শুধুমাত্র অনুশীলনের জন্য একটি গ্রাউন্ড পাওয়া তো অনেক বড় ভাগ্যের বিষয়। বাস্তবিক এ বিবেচনায় সেই কাজটি করতে যাচ্ছে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। তিন একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। সেই গ্রাউন্ডে একই সঙ্গে ৬০ ক্রিকেটার বা তিনটি দল অনুশীলন করতে পারবে। সেখানে পরিপূর্ণ রাখা হবে আধুনিক মানের সুযোগ-সুবিধাও। সেই প্রত্যাশিত গ্রাউন্ডটি গড়ে তোলা হচ্ছে লাক্কাতুরায় অবস্থিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই। একই সাথে নব নির্মিত আউটার স্টেডিয়ামটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মযার্দা নিশ্চিতে আবদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘খেলা তো প্রতিটি স্টেডিয়ামেই হয়। কিন্তু ক্রিকেটার বা বিভিন্ন ক্লাব ও দলগুলোর জন্য নেই তেমন অনুশীলন সুবিধা। যদি ধরে নেয়া যায়, বিপিএলে সিলেটে খেলতে আসে অনেক দল। তাদের অনুশীলন সুবিধা দিতে হিমশিমে পড়ে কর্তৃপক্ষ। সেই চিন্তা থেকেই একটি প্রাকটিস গ্রাউন্ড তৈরির চিন্তা করেছি আমরা।’
জানা গেছে, প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডটি তৈরির উদ্যোগ ও প্রাথমিক কাজগুলো করবে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। তবে এর বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ভিতরে উইকেট ও অবকাঠামোর কাজ উন্নয়ন করবে বিসিবি। নাদেল আরো বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভূমি নেয়ার কাজটি শুরু করেছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এর বাউন্ডারির দেয়াল, মাটি ভরাট ও অন্যান্য কাজগুলো করবে। তবে বিসিবি এই অনুশীলন মাঠের অবকাঠামো, উইকেট ও সুবিধাগুলো তৈরি করে দিবে। তিনটি প্রতিষ্ঠান মিলেই গ্রাউন্ড তৈরির কাজটি করবে। গ্রাউন্ডে ৮টি সিমেন্টের উইকেট তৈরি করে দেয়া হবে, এছাড়াও থাকবে আরো ১০ বা ১২টি উইকেট। থাকবে চেঞ্জ রুম, টয়লেট ও ওয়াশ রুম ও পানির ব্যবস্থা। যেন ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে এসে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে এখানেই।
সূত্র জানায়, গ্রাউন্ডে সুবিধাগুলো ফ্রি পাওয়া যাবে না। অনুশীলনরত দলগুলো এখানে অনুশীলন করতে হবে নুন্যতম একটি ফি গুনে। সেটি খুব বেশি হবে, তা নয়। এই অর্থ নেয়ার কারণও আছে। সেটি হলো মেনটেন্যান্স। যেমন উইকেট পরিচর্যা, টয়লেট, চেঞ্জ রুমগুলোর দেখভালে। এটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজগুলো নিয়মিত করতে হবে। এতে নিয়মিত ব্যয় হবে অর্থ। গ্রাউন্ডটি আর্থিকভাবে স্বর্য়ং সম্পূন্ন রাখতেই মুলত এ ফি ব্যবস্থা। সেকারনে সুনির্দিষ্ট হারে ভাড়া ধার্য থাকবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনুশীলন

১৭ এপ্রিল, ২০২২
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৭ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ