Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার কারণে বদল রায়হান হত্য মামলা তদন্তের দায়িত্বে এবার ইন্সপেক্টর আওলাদ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:০৭ পিএম

করোনার কারনে বদল হলেন রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এখন চাঞ্চল্যকর এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সিলেট পিবিআই’র ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন। বুধবার থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তদন্তের কাজ শুরু করেছেন তিনি। এদিকে, গত রোববার রাতে রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম সহ পিবিআই’র দু’জন পরিদর্শক, একজন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও দু’জন কনস্টেবল আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এ অবস্থায় একদিন পর মঙ্গলবার মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওলাদ হোসেনকে। তবে এরই মধ্যে মামলার পূর্বের তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম তদন্তের অগ্রগতি অনেক দুর এগিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যে ৩ পুলিশ সদস্য সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার ও আটক পুলিশ সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এদিকে, সেই রাতে রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শেখ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সৌদি রিয়েল দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সোমবার রাতে সাইদুরের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন প্রাইভেটকার চালক নগরীর লন্ডনি রোডের বাসিন্দা আফজাল হোসেন আলাল। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুধবার কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম মিঞা।
মামলার এজহারে উল্লেখ হয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর আসামী শেখ সাইদুর রহমান নিজেকে লেপ-তোষকের ফেরিওয়ালা সুমন বলে পরিচয়ে সৌদি আরবের রিয়াল ভাঙানোর কথা বলে। এসময় আলালের (বাদি) কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে রিয়ালের বদলে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার কাগজ দিয়ে রিয়ালের বান্ডিল বানিয়ে প্রতারণা করেন শেখ সাইদুর। এর আগে গত গত ২৫ অক্টোবর সাইদুরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পিবিআই।
পুুলিশ জানায়, সাইদুরের ছিনতাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গত ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে নিয়ে আসে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মৃত্যু হয় রায়হানের। রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের পূত্র। নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। ১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ মামলাটির তদন্ত ন্যস্ত করা হয় পিবিআইতে । তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর পরিদর্শন সহ নিহত রায়হানের বাড়িতে যান। এমনকি লাশ কবর উত্তোলন করে ২য় দফা ময়না তদন্ত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রায়হান হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ